গাংনী পৌর যুবদলের এক নম্বর (বাঁশবাড়িয়া) ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আলমগীর হোসেন হত্যা মামলার আসামিদের ফাঁসি দাবী করে গাংনী উপজেলা শহরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলুর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি হাসপাতাল বাজার এলাকার দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বড়বাজার এলাকা ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
সেখানে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু। এসময় উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম, গাংনী পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক শাজাহান সেলিম, মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হোসাইন, গাংনী পৌর জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সুলেরী আলভী, যুবদল নেতা সাহিবুল ইসলামসহ বিএনপি’র অন্যান্য নেতা কর্মীরা
প্রতিবাদ সমাবেশে আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, গাংনী পৌর যুবদলের এক নম্বর (বাঁশবাড়িয়া) ওয়ার্ডের সভাপতি আলমগীর হোসেনকে কুপিয়ে ও গলাকেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রত্যেকটা হত্যাকারীকে পুলিশ সনাক্ত ও তাদের গ্রেফতার করেছে। হত্যাকারীরা সবাই আওয়ামীলীগ থেকে বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারী। আলমগীর হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি ছিল নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের গুন্ডা ও সাবেক মেয়র আহমেদ আলীর বডিগার্ড। ২ নং আসামি রবিউল ইসলাম বিপ্লব ছিল ছাত্রলীগের ক্যাডার এবং গাংনী পৌরসভার সাবেক মেয়র যুবলীগ নেতা আশরাফুলের বডিগার্ড। এরা দুজনেই নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠণ পূর্ববাংলার সদস্য। এই সব অনুপ্রবেশকারীকে দলে ভিড়িয়ে বিএনপির সাধারণ কর্মীকে হত্যা করা হচ্ছে। যারা এইসব অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসীদের দলে ভিড়িয়েছে তাদেরও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করছি।
বাবলু আরও বলেন, যুবদল নেতা আলমগীর হোসেন একজন নিরীহ মানুষ। তাকে শুধু দুই লক্ষ টাকার জন্য হত্যা করা হয়নি। এই হত্যাকান্ডের পেছনে অনেক রহস্য আছে। সেই রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য পুলিশ ও র্যাবকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বারবার বলেছেন, আওয়ামীলীগ থেকে কোনো অনুপ্রবেশকারীর বিএনপিতে কোনো যায়গা হবেনা। তারেক রহমানের নির্দেশ মেনে চললে গাংনীর মাটিতে কোনো অনুপ্রবেশকারীর জায়গা হবেনা।
তিনি বলেন, জোড়পুকুরিয়া গ্রামের বিএনপি নেতা লাবলু হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি বিস্কুট বর্তমান জেলা বিএনপির আহবায়ক মিল্টনের হাত ধরে বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করেছেন। বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করেই আবারও নতুন করে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন শুরু করেছে। এর দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে বলেও হুশিয়ারী দেন তিনি।
তিনি বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠণ ছাত্রলীগের জন্মদিন পালন উপলক্ষে পিকনিকের নামে ভাটপাড়া ডিসি ইকোপার্কে সার ব্যবসায়ীদের ব্যানারে মিটিং মিছিল করতে চেয়েছিল। বিএনপির নেতাকর্মীরা সেটি বাঞ্চাল করে দিয়েছেন।
যুবদল নেতা আলমগীর হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই হত্যার সাথে কেউ জড়িত থাকলে সে যতবড় শক্তিশালী হোক না কেনো তাদের গ্রেফতার করতে হবে।