গাংনী উপজেলার হেমায়েতপুর মাঠ থেকে জগত আলী (৫০) নামের এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জগত আলী গাংনী উপজেলার অমতৈল মানিকদিয়া গ্রামের কিয়ামত আলীর স্ত্রী।
আজ রবিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে কৃষকরা তার মরদেহ দেখে গাংনী থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সুরোতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে, নিহতের স্ত্রী হালিমা খাতুনের দাবী জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তার ভাসুর আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল গাফফার ও আব্দুল জব্বার তাকে হত্যা করতে পারেন। কিছুদিন আগে গাফ্ফারের বোন ও অন্য একজনের কাছ থেকে ৮ কাঠা করে মোট ১৬ কাঠা জমি কিনেছিলেন তার স্বামী জগত আলী। সেই কেনা জমি নিয়ে প্রায় ৩ মাস যাবৎ গাফ্ফারের সাথে গ্যানজাম চলে আসছে। কিছুদিন আগেও একবার জগত আলীকে মারধর করেছিলো গাফফার ও জাব্বার। ১০ দিন আগে থেকে তাকে হত্যা করে লাশ ভারতে ফেলে আসবে বলেও হুমকী দিচ্ছিল তারা। এসব অভিযোগ হালিমা খাতুনের।
হালিমা খাতুন আরো বলেন, আজ সকালে মসজিদে ফজরের নামাজ পড়ে জমির দলিল ও অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন জগত আলী। পরে মাঠে তার লাশ দেখে কৃষকরা খবর দেন।
তিনি বলেন আমার স্বামী কেনা এই ১৬ কাঠা জমিতে সরিষা বুনেছিলেন। সেখানে গাফ্ফার ও জাব্বারও ভূট্টা লাগিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বিরোধপূর্ণ জমির উপরেই জগতের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে তার বাড়ি ও স্থানীয় হেমায়েতপুর পুলিশ ক্যাম্পে খবর দেওয়া হয়।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জগত আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যেহেতু তার স্ত্রীর দাবী তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাই মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে খবর পেয়ে মেহেরপুর পুলিশের এএসপি সার্কেল ঘটনাস্থলে পৌছেছেন।