গাংনীর লক্ষিনারায়নপুর ধলা গ্রামের চাঞ্চল্যকর জোড়া খুন মামলার এজাহারভুক্ত তিন নং আসামী জেলহাজ আলী (৫৫) কে গ্রেফতার করেছেন র্যাব-৬, গাংনী ক্যাম্পের একটি টীম।
এর আগে গাংনী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছেন। এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এ জোড়া খুনের ঘটনায় এজাহার নামীয় ৭ জন আসামী গ্রেফতার হলেন। র্যাবের হাতের গ্রেফতার জেলহাজ (৫৫) লক্ষীনারায়ণপুর ধলা গ্রামের মৃত নজীমুদ্দীনের ছেলে। সে এই হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ৩ নং আসামী।
বুধবার বেলা ১১ টার দিকে জেলহাজ আলীকে মেহেরপুর ২৫০ সহ্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন র্যাবের দলটি। বিকালে র্যাব-৬ ঝিনাইদহ সিপিটু ক্যাম্প থেকে সাংবাদিকদের ছবি ও তথ্য সরবরাহ করে এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।
র্যাব জানায়, ৮ নভেম্বর সকালের দিকে ভোট চেয়ে ফেরার পথে কাথুলি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড লক্ষিনারায়নপুর ধলা গ্রামের বর্তমান মেম্বর আজমাইন হোসেন টুটুলকে একই ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর, গাংনী উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে তার ক্যাডার বাহিনী ধারালো অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় তার দুই ভাই সাহাদুল ইসলাম ও জাহারুল ইসলাম তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করে ফেরার পথে আতিয়ার রহমানসহ তার ক্যাডার বাহিনীর লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এছাড়া তাদের হামলায় নারীসহ অন্তত আরও ১০ জন মারাত্বক জখম হন।
এ জোড়া খুনের ঘটনায় নিহতের ভাই বেল্টু মিয়া বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেম্বর আতিয়ার রহমানসহ ৬৬ জনকে আসামি করে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গাংনী থানার মামলা নং-০৯/২৬৭ তারিখ ০৯/১১/২০২১ ইং, ধারা- ১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩২৬-ক/৩০৭/৩০২/৫০৬ /১১৪/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। গ্রেফতারকৃত জেলহাজ ওই হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত ৩ নং আসামী।
এদিকে গাংনী থানার তদন্ত অফিসার ( ওসি তদন্ত)শাহ আলম জানান, জোড়া খুন মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় ৬ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছ।
পুলিশের গ্রেফতারকৃতরা হলেন, প্রধান আসামী আতিয়ার রহমানের ভাই মামলার ২৩ নং আসামী সইফত আলীর ছেলে মহব্বত আলী, দিলু হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম, আরজান আলীর ছেলে রাশিদুল ইসলাম, ও কাটু হোসেন, জারমান আলীর ছেলে হেলু ও লাবলু হোসেন।
এদিকে মামলার প্রধান আসামী আতিয়ার রহমান, কটা শহিদুল, মানাসহ অন্যান্য আসামীরা আটক না হওয়ায় আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন নিহতদের পরিবারের লোকজন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গাংনী থানার তদন্ত অফিসার শাহ আলম জানান, আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশ সব্বোর্চ্ছ চেষ্টা চালাচ্ছে।