মেহেরপুরের গাংনীর উপজেলার রাইপুর ইউনিয়নের শালদাহ বিলপাড়ার দুই কিলোমিটার কাচা রাস্তার বেহাল অবস্থা। অল্প বৃষ্টিতেই কাদা হয়ে যায় রাস্তায়। ফলে গ্রামবাসিদের জনগুরুত্বপুর্ণ রাস্তাটি হাটু কাদায় মানুষ চলাচলের একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়ে। দির্ঘদিনের জনভোগান্তির কাচা রাস্তাটি পাকা করনের জন্য বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ করেও কোন সুরাহা পাইনি স্থানীয়রা। গ্রামের মধ্যে এই কাচা রাস্তাটি দ্রত পাকা করনের জন্য সংশ্লিষ্টদেও কাছে আবেদন করেছেন এলাকাবাসি।
শালদাহ গ্রামের রজব আলী জানান,শালদাহ গ্রামের বিলপাড়ার মধ্যবর্তী দুই কিলোমিটার কাচা রাস্তাটি অল্প বৃষ্টি হলেই হাটু কাদায় পরিনত হয়। কাদা হওয়ায় ওই রাস্তা দিয়ে মানুষ মসজিদে নামাজের জন্য যেতে পারেনা। উক্ত রাস্তা দিয়েই কোমলমতি শিশুরা প্রাইমারি স্কুলে যাতায়াত করে। কাদাযুক্ত রাস্তার কারনে অনেকেই পিছলে পড়ে যায়। গ্রামের নওশাদ আলী জানান,মাত্র দুই কিলোমিটার কাচা রাস্তার কারনে গ্রামের মানুষ চলাচলে নানা ভোগন্তিতে পড়ে। স্থানীয় চেয়ারম্রান মেম্বারদের বিষয়টি বারবার জানানো হলেও কাচা রাস্তাটি আজ অবদি পাকা করনের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
শালদাহ গ্রামের লাল্টু ও মন্টু জানান, আশপাশের এলাকায় অনেক উন্নয়ন হলেও আমাদেও গ্রামে তেমন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। নির্বাচন এগিয়ে আসলে চেয়াম্যান ও ওমম্বার প্রার্থীরা রাস্তাটি পাকা করনের প্রতিশ্রুতি দেন। নির্বাচন শেষ হলেই রাস্তাটির কথা সকলেই ভুলে যান। দুই কিলোমিটার কাচা রাস্তাটি পাকা করনের জন্য উপজেলা এলজিইডির দৃষ্টি কামনা করেন তারা।
রাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন সেপু বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে দুই কিলোমিটার রাস্তা পাকা করনের কোন সুযোগ নেই। সুযোগ থাকলে অনেক আগেই জন দুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রেখে পাকা করনের উদ্যোগ নেয়া হতো। বিষয়টি উপজেলা এলজিইডির হস্তক্ষেপ কামনা করেন এই জনপ্রতিনিধি।
গাংনী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ জানান, রাস্তাটি সম্পর্কে আমাকে কেউ অবহিত করেনি। তবে আপনাদের মাধ্যমে অবগত হলাম। বিষয়টি নজরে এসেছে। পাকা করনের উদ্যোগ নেয়া হবে।