মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে ফিল্মি স্টাইলে পুলিশের উপস্থিতিতে বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম টুটুল পক্ষের মধ্যে আজ শনিবার সকাল নয়টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষে চার জন আহত হয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। গত শুক্রবার সন্ধায় টুটুল পক্ষের হামলায় চেয়ারম্যান পক্ষের তিন জন আহত হয়। আহতরা হলেন, ইসলামের ছেলে সুজন (২৫),দাউদ হোসেনের ছেলে আমানুর (৪৫) ও রেহান আলীর ছেলে আয়েছ (৩৭)। আহত সুজনকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। সে থেকেই এলকায় নেমে আসে নিরবতা। চারাচারা বাজারের ব্যবসায়ীরা তড়িঘড়ি করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়।
সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতংক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সাহারবাটি বাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এর জেরে আজ শনিবার সকালে পুলিশের উপস্থিতিতে দু’পক্ষের লোকজন চাইনিজ কুড়াল,লাঠিশোঠা লোহার রড নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়ে। আধিপত্য দেখাতে পর পর ৫টি বোমার বিষ্ফোরণ ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের চার জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত দুই জনকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বোমা নিক্ষেপের ঘটনায় একে অপরকে দায়ী করছেন উভয় পক্ষের নেতৃবৃন্দ। এঘটনায় চরম আতংকে রয়েছ এলাকার সাধারণ মানুষ । যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।