পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কৃষক মোহন আলী নামের এক কৃষকের চার বিঘা সবজি ক্ষেত কেটে বিনাস করেছে দুর্বৃত্তরা। সবজি ক্ষেতে লাউ ও কুমড়া আবাদ করছিলেন তিনি।
সোমবার দিনগত রাতে মেহেরপুরের গাংনীর সাহারবাটি গ্রামের আটকবর মাঠে এমন অমানবিক ঘটনা ঘটে। এতে অন্ততঃ ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেছেন কৃষক মোহন আলী ।
কৃষক মোহন আলী জানান, প্রতি দিনের মতো তিনি সবজি ক্ষেত পরিচর্যা শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে ওই ক্ষেতে গিয়ে দেখেন সমস্ত লাউ ও কুমড়ার ২ হাজার গাছের গোড়া কেটে দিয়েছে দৃর্বৃত্তরা। গাছে যে পরিমান লাউ ও কুমড়া আছে তা এ মুহুর্তে বিক্রি করাও যাচ্ছে না।
একেতো ঈদের সময় অন্যদিকে পরিবহন সমস্যা প্রকট। তিনি আরো জানান, লাউ ও কুমড়ার চারা রোপন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
যে মুহুর্তে ফসল বিক্রি করার সময় সেই মুহুর্তে ফসল তছরুপ করায় কৃষক মোহন আলী পথে বসেছে। মহন আলীর আবাদ তছরুপ করাই অন্যান্য কৃষকরাও আতংকিত হয়ে পড়েছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম জানান, আমি মহন আলীর লাউ ও কুড়ার বাগানে গিয়েছেলাম। ৫/৬মাস পরিচর্যার পর যে সময় কৃষক লাউ এবং কুমড়ার বাজারে তুলবে সেই মুহুর্তে বাগানের সব গাছ কেটে দিয়েছে এটি মধ্য যুগীয় বর্বরতা। দোষীদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
সাহারবাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জানান, দেশের সব চেয়ে বেশি সবজি উৎপাদনকারি জেলা মেহেরপুর। মেহেরপুরের অন্যান্য এলাকার সবচেয়ে বেশি সবজি উৎপাদন হয় সাহারবাটি মাঠে।
সেই মাঠের কুষের আবাদ কেটে দিয়ে সমগ্র কৃষকের ক্ষতি করেছে। যারা এই অপকর্মের সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে ব্যার্থ হলে সবজি উৎপাদনে কৃষকরা নিরুৎসাহিত হবে। ফলে এলকায় সবজি ঘাটতি দেখা দেবে।
সাহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান জানান, আমি মহন আলির আবাদ কেটে দেয়ার বিষয়টি শুনে জমিতে গিয়েছিলাম।
প্রতিটি ডগাই লাউ ও কুমড়া হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটতে থাকলে এবং কৃষক যদি বিচার না পাই তবে অন্যান্য কৃষকরা ফসল নিয়ে আতংকে থাকবে এব্য ফসল উৎপাদনে নিরুৎসাহি হবে।
গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার লাভলী খাতুন জানান, এটি শুধুমাত্র কৃষক মহন আলীর একক ক্ষতি নয়। এটি দেশের ক্ষতি। কারন এই ফসল কুষক মহন আলী একা সুবিধা ভোগ করতো না। এহেন কর্মকান্ডের নিন্দা ও দোষীদের আইনের আওতায় আনারও দাবী করনে তিনি।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, এবষিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক থানায় অভিযোগ করলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষককে আইনী সহায়তা প্রদান করা হবে। এবং তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।