গাংনীর সাহারবাটি গ্রামে স্বর্ণালী খাতুন (১৮) নামের এক গৃহবধুকে শ্বাস রোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বেলা ১১ টার সময় এঘনা ঘটে। নিহত স্বর্ণালী খাতুন সাহারবাটি গ্রামের শুকুর আলী ওরফে পটলের মেয়ে ও আলী হোসেনের স্ত্রী। নিহত স্বর্ণালীর মরদেহ স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পেরণ করণ করেছে পুলিশ ।
শশুর বাড়ির লোকজন তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে এমন অভিযোগ করেন স্বর্ণালীর পিতা শুকুর আলী পটল। বেলা ১১ টার সময় স্বামীর বাড়িতে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্নহত্যা করেছে বলে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। গাংনী থানা পুলিশের একটি টীম ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বর্ণালীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
স্বর্ণালী খাতুনের চাচাতো ভাই মিঠুন জানায়, ৯/১০ মাস আগে স্বর্ণালীর সাথে বিয়ে হয় প্রতিবেশি আলী হোসেনের সাথে। সোমবার সকালে স্বর্ণালীর মৃত্যুর খবর শুনি। শশুর বাড়ির লোকজন বিষয়টিকে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যাবার গুজব রটায়। পরে তার গলায় আঘাতের চিহ্ন থাকায় লাশ উদ্ধার করে গাংনী থানায় নিয়ে আসে। এঘটনার পর থেকে স্বর্ণালীর স্বামী পক্ষের লোকজন পলাতক রয়েছে। তবে বিষয়টিকে আত্নহত্যা বলে দাবী করেছে স্বর্ণালীর শশুর বাড়ির লোকজন।
তবে হত্যা না কি আত্নহত্যা এই নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দে রয়েছে স্থানীয়রা।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) বজলুুর রহমানকে একাাধিক বার মোবাইল করা হলে তিনি সাংবাদিকদের মোবাইল কল রিসিভ করেননি। পরে থানায় যাওয়া হলেও তাকে থানায় পাওয়া যায়নি।
ডিউটি অফিসার নাসির উদ্দিন জানান, একটি অপমৃত্যু মামলা দেখিয়ে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর মর্গে পেরণ করা হয়েছে।