গাংনীর সাহারবাটিতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে মহিলাসহ তিনজন আহত হয়েছেন। আহতদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- সাহারবাটি গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল হোসেন খোকনের ছেলে আরাফাত হোসেন শাহিন (৩৫), হুমাইয়ুনের ছেলে জুয়েল(২৫) ও বাবুর স্ত্রী পলিয়ারা খাতুন(৩৭)।
আহত আরাফাত হোসেন শাহিনের পরিবার জানান, চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে প্রতিপক্ষ জুয়েল ও তার লোকজন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সাহারবাটি ফিল্ড পাড়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত শাহিনকে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।
শাহিনের পরিবারের অভিযোগ, জুয়েল হোসেন তাদের জমির সীমানা ঘেঁসে পানি পড়নের জায়গা না রেখেই বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করে। এবিষয়ে তাদেরকে পানি পড়নের জায়গা রেখে বাড়ি নির্মাণ কাজ করতে বলা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহিন তার সাহারবাটি চারচারা বাজারস্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মোটর সাইকেলে বাড়ি যাচ্ছিলেন।
এসময় সাহারবাটি ফিল্ড পাড়া গ্রামের হুমায়উনের ছেলে জুয়েল, সামছদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর ও রফিকুলসহ তার লোকজন পিছন দিক থেকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে মাথায় আঘাত করে।
এসময় আরাফাত হোসেন শাহিন মোটরসাইকেল থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে গেলেও লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভন্ন স্থানে আঘাত করে। পরে শাহিনের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে শাহিনের পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জানান, শাহিনের মাথায় আঘাতের কারনে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। অবস্থা দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এবিষয়ে জুয়েল ও তার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জুয়েল তাদের নিজস্ব জমির ওপর বসতবাড়ি নির্মাণ করছিলেন। বাড়ি নির্মাণের কাজে বাঁধা দেয় শাহিন ও তার লোকজন। একপর্যায়ে শাহিন প্রথমে আমাদের মারধর শুরু করে। শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ। এতে জুয়েল ও পলিয়ারা খাতুন আঘাতপ্রাপ্ত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে
গাংনী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।