মেয়াদ শেষ না হতেই বর্গা চাষীর দেড় বিঘা জমির পাটখেত বিনষ্ট করেছেন জমির মালিক। বুধবার সকালে মেহেরপুরের গাংনীর সাহারবাটি মাঠে এ ঘটনাটি ঘটে। এতে ওই বর্গা চাষীর অন্ততঃ ২৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে।
জানা গেছে, তিনি সাহারবাটি গ্রামের আব্দুল সাত্তারের প্রতারণার শিকার হয়ে দুই বিঘা জমি একলাখ টাকায় (ফেরত যোগ্য) বন্ধকী নেন গাংনীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ি বাবর আলী। ওই জমি বাবর আলী ২০ হাজার টাকা বাৎসরিক চুক্তিতে তার কাছে লীজ দেন। চুক্তির মেয়াদ শেষ হবার কথা আগামী ২৫ রমজান।
মেয়াদ শেষ হবার আগেই মাহাবুব বাবর আলীর সাথে ২০ হাজার টাকায় মৌখিক চুক্তি করেন এবং ওই জমিতে পাট বপন করেন। বাবর আলী বিষয়টি প্রকৃত জমির মালিক আব্দুস সাত্তারকে অবহিত করেন। অথচ বুধবার আব্দুস সাত্তার বাবর আলী এবং মাহাবুবের অগোচরে ওই জমির পাট ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করে বিনষ্ট করেন।
এ ব্যাপারে বাবর আলী বলেন, জমির মালিক আব্দুস সাত্তারের কাছ থেকে দু’বিঘা জমি ক্রয়ের জন্য ১০ লাখ টাকা প্রদান করি। জমি রেজিস্ট্রির সময় কাগজ পত্র সঠিক না থাকায় রেজিস্ট্রি করা সম্ভব হয় না । পরে কিছু টাকা ফেরত দিলেও এক লাখ টাকা বকেয়া থেকে যাওয়ায় ওই জমি বন্ধকী রাখা হয়। পরে মাহাবুব হাসানের কাছে লীজ চুক্তিতে দেয়া হয়। কিন্তু কেন ওই জমির পাট বিনষ্ট করা হলে তা আব্দুস সাত্তার জানান নি।
পাটচাষি মাহাবুব হাসান জানান, জমি কার সেটা আমার জানার বিষয় নয়, বাবর আলীর সাথে জমি লীজ নেয়া হয়েছে। কোন অভিযোগ বা লেন দেন থাকলে সেটা আব্দুস সাত্তার ও বাবর আলী মিলে সমাধা করতে পারতেন। অথচ তা না করেই পাটখেত নষ্ট করেছে। এতে মোটা অংকের টাকা বিনষ্ট হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন বলে জানান মাহাবুব। জমির মালিক আব্দুস সাত্তারের ছেলে অন্তর জানান, আমি পাট চাষি মাহাবুবকে ডেকেছিলাম কিন্তু তিনি আসেননি। তাই আমার জমি আমি চাষ করেছি।
গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, এবিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।