মেহেরপুরের গাংনীর সাহারবাটি গ্রামে আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার হামলা ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় পাল্টা পাল্টি দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সাহারবাটি বাজার কমিটির সভাপতি আতাউর রহমান টোকনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানায়, গত ২৪ এপ্রিল সকালে মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি রাকিবুল ইসলাম টুটুল ও নৌকা মনোনীত বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম ফারুকের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পাঁচটি বোমার বিষ্ফোরণ ঘটে। আহত হয় উভয় পক্ষের চারজন।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষ পাল্টা পাল্টি দুটি মামলা দায়ের করেন। চেয়ারম্যান গ্রুপের পক্ষে মাবিয়া মলদারের ছেলে হাফিজুর রহমান বাদি হয়ে ২৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলা নং-২১/২০২১। অপরদিকে গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে রাকিবুল ইসলাম টুটুল বাদি হয়ে ২৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ২২/২০২১। মামলা দুটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এসআই আব্দুর রাজ্জাক ও এসআই গোলাম মোস্তফাকে।
রাকিবুল ইসলাম টুটুলের দায়েরকৃত মামলার এক আসামি সাহারবাটি গ্রামের মৃত আজাহার আলীর ছেলে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং সাহারবাটি বাজার কমিটির সভাপতি আতাউর রহমান টোকনকে গতকাল রবিবার সকালে চারাচারা বাজার থেকে গ্রেফতার করেছে গাংনী থানা পুলিশ।
গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, উভয় পক্ষ মামলা করেছে। আমরা আসামিদেরকে গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা করছি। সাহারবাটিতে আর কোন ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য পুলিশি টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাহারবাটি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে ফিল্মি স্টাইলে পুলিশের উপস্থিতিতে বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম টুটুল পক্ষের মধ্যে গত শনিবার সকাল নয়টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষে চার জন আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।