প্রবাস জীবনও তার ভাগ্য বদলাতে পারেনি। জীবনের ভাগ্যের চাকা ঘোরাতেই গেছিলেন ইরাকে। সেখানে গিয়ে মৃত্যুর মুখে পড়েন তিনি। অবশেষে দেশে ফিরেছেন শুণ্য হাতে। অবশেষে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ভ্যান কিনেই এখন ঘোরাচ্ছেন জীবনের চাকা।
ভ্যান চালানোর পাশাপাশি সংসারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে ধার দেনা ও ঋণ নিয়ে দুটো গরু কিনেছিলেন তিনি। বিধিবাম সেখানেও চোরের হানা। এখন ভেঙ্গে গেছে দরিদ্র ভ্যান চালক কামালের সেই স্বপ্ন। ২ টি গরু হারিয়ে কামাল হোসেন এখন পাগল প্রায়।
কামাল হোসেন গাংনী উপজেলার হাড়িয়াদহ গ্রামের উত্তরপাড়া এলাবার নুরুন্নবীর ছেলে। গত শনিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় তার গোয়াল ঘর থেকে গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল।
কামাল হোসেন জানান, ধার দেনা ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ২টি এঁড়ে গরু কিনেছিলাম। সংসারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে প্রতিদিনই হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করেও গরু দুটিকে যত্ন করতাম। গরু দুটি নিয়েই সংসারের স্বচ্ছলতার স্বপ্ন ছিল আমার। কিন্তু আর হলোনা। আমার ভাগ্যই খারাপ। তিনি বলেন, রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন।
রাত আনুমানিক ৩টার দিকে গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখি গরু দুটি নেই। চোরের দল চুরি করে নিয়ে গেছে। তিনি বলেন আমার বড় ভাই মাংস বিক্রেতা জামাল হোসেনের দুটি গরুও চোরের দল নিয়ে গেছিল। কিন্তু ফঁসকে বের হয়ে গরু দুটি পালিয়ে এসেছে।
স্থানীয় সাংবাদিক সাহাজুল ইসলাম সাজু জানান, এই গ্রামে গত ১৭ দিনে ৫ টি গরু চুরি হয়েছে। এর আগে গ্রামের ভ্যান চালক আকছেদ আলীর ২টি ও ব্যবসায়ি আব্দুর রশীদের ১টি গরু চুরি হয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গরু চুরির বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেইনি। পুলিশ প্রতি রাতেই বিভিন্ন এলাকায় ডিউটি পালন করে থাকেন। হাড়িয়াদহ গ্রামেও ডিউটির ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া গরু চোর ধরতে এলাকায় খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।