গাংনীর বিভিন্ন ইট ভাটায় হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় চাঁদা টাকা দাবি করলে না দেওয়ায় শ্রমিকদের মারধর করে । সেই সাথে চাঁদার টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত ইটভাটাগুলো বন্ধ রাখার হুমকি দেয় তারা।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, গাংনীর ছয়টি ইট ভাটায় শ্রমিকদের মারধর করেছে সন্ত্রাসীরা, সেই সাথে চাঁদার দাবি করে।
সোমবার গভীর রাতে সন্ত্রাসীরা ইটভাটায় হানা দিয়ে তাদের সাথে যোগাযোগের জন্য মোবাইল নাম্বার দিয়ে গেছে। তাদের দেওয়া শর্তমতে চাঁদা না দিলে ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয় সন্ত্রাসী বাহিনী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাটা মালিকরা জানিয়েছেন, গভীর রাতে যখন শ্রমিকরা ইট পোড়ানোর কাজে নিয়োজিত ছিলেন সে সময় ১০/১৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী প্রথমে থানা রোডে পান্না ব্রিকসে হানা দেয়। এসময় ইট পোড়ানোর শ্রমিকদের মারধর করে। পর্যায় ক্রমে পার্শ্ববর্তী দোয়েল ব্রিকস, পায়রা ব্রিকস, টুইস্টার ব্রিকস, আস্থা ব্রিকস ও এএসবি ব্রিকসে হানা দিয়ে তাণ্ডব চালায়।
এএসবি ব্রিকস স্বত্বাধিকারী আনোয়ার হোসেন বলেন, সন্ত্রাসীরা হানা দিয়ে শ্রমিকদের মারধর করে ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় ইটভাটার পরিবহনের যানবাহনে ভাঙচুর চালায় তারা।
ইট ভাটা মালিকরা জানান, সন্ত্রাসীরা শ্রমিকদের বেধড়ক মারপিট করে। সামান্য আহত কয়েক জন শ্রমিককে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সন্ত্রাসীরা পাঁচটি ইটভাটা তেই কাগজে লিখে একটি মোবাইল নাম্বার দিয়ে গেছে। ওই নাম্বারে যোগাযোগ করে চাঁদা পরিশোধ করার জন্য বলা হয়েছে। চাঁদা পরিশোধ না করা পর্যন্ত ইটভাটা বন্ধ রাখতে হুমকি দিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা।
বিষয়টি নিয়ে ইটভাটাগুলোতে শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে আজ সকাল থেকেই ইটভাটার কার্যক্রম চালু থাকলেও রাতে শ্রমিকরা আর কাজ করতে চাইছে না।
এ বিষয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনাগুলোর জিডি দায়ের করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।