গাংনী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যসহ নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঠিকাদার দেলোয়ার হোসেন মিঠু।
রোববার বিকেলে তার নিজ প্রতিষ্ঠান এইচ এম ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে এলজিইডি প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদের বিরুদ্ধে হয়রানী ও উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে ঠিকাদার দেলোয়ার হোসেন মিঠু জানান, তিনি মটমুড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের একতলা ভবন নির্মাণ কাজ পান। প্রকৌশলী অফিসের নির্দেশ মতে গেল বছর ১০ অক্টোবর কাজটি শুরু করেন। ফয়সাল আহমেদ যোগদান করার পর থেকে এসও আলাউদ্দীন ও সার্ভেয়ার আকতার হোসেন বিভিন্ন সময়ে নানা কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেন। প্রতিটি বিল বাবদ প্রকৌশলীকে ৩% আলাউদ্দীনকে ২% ও সার্ভেয়ারকে ১% ঘুষ দিতে হয়। এর পরও নানা অজুহাতে তিনবার নির্মাণ কাজ ভেঙ্গে ফেলতে হয়। পরে হারুন নামের একজন কনসালটেন্ট এসে বিভিন্ন ত্রুটি দেখিয়ে তা ঠিক করে নেন এবং প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ কনসালটেন্ট হারুনের নামে ২০ হাজার টাকা ঘুষ হিসেবে গ্রহন করেন। প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ কাজ পরিদর্শন করেন ও বৈদ্যুতিক লাইনের কাজ সঠিক ভাবে করিয়ে নেন।
দেলোয়ার হোসেন আরো জানান, আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে প্রকৌশলী ও শহিদুল ইসলাম নামের একজনকে নিয়ে কাজ পরিদর্শনে যান। সে সময় ভবনের গ্লাস লাগানো ও গেটের পাশে টাইল্স ভেঙ্গে একটি অ্যাঙ্গেল ঠিক করতে বলেন। কিন্ত কাজ শেষ হবার পর টাইল্স ভাঙ্গার বিষয়টি বিবেচনা করতে বললে প্রকৌশলী তার সাথে থাকা শহীদুল ইসলাম নামের ওই ব্যক্তির মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবী করেন। অন্যথায় কাজটি হস্তান্তর ও বিল পেতে দেরী হবে বলেও জানানো হয়।
বিষয়টির প্রতিবাদ করায় প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এমনকি মামলাসহ নানা ধরনের হয়রানীর হুমকী প্রদান করেন। গাংনীতে যোগদান করার পর ঠিকাদারদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে আসছেন প্রকৌশলী ফয়সাল আহম্দে। তার দুর্নীতি অনিয়ম ও অর্থবানিজ্যের বিষয়টি তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।