গাংনী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও বিশিষ্ট রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী মালেক হোসেন চপল বিশ^াস (৪৬) স্ট্রোকজনিত কারনে কুষ্টিয়া হার্ট এন্ড জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রজিউন।
চপল বিশ^াসের স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়ে, ভাই-বোন,আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধবসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রয়েছে। চপল বিশ^াসের বড় ভাই বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল আওয়াল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আজ রাত ৮ টার দিকে হঠাৎ বুকে ব্যাথা অনুভব করলে তাঁকে দ্রুত কুষ্টিয়া মান্নান হার্ট এন্ড জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। চপল বিশ^াস গাংনী উপজেলার বামন্দী বাজারের মৃত আব্দুল বারীর ছেলে ও বিশিষ্ট রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী। তবে, কখন তাঁর নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে এখনো নির্ধাারিত হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার বামন্দী কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হবে বলে পারিবারিকভাবে জানা গেছে।
এদিকে চপল বিশ^াসের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
এই রাজনৈতিক নেতার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি শিল্পপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন, গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মনিরুজ্জামান গাড্ডু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও গাংনী পৌর বিএনপির সভাপতি মোরাদ আলীসহ বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দও শোক জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, মালেক হোসেন চপল বিশ^াস এলাকার জনপ্রিয় একজন রাজনৈতিক নেতা ও সমাজ সেবক ছিলেন। বিভিন্ন সামাজিক ও ধমীয় প্রতিষ্ঠানে বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করতেন। এছাড়া অসহায় নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিতেন।
বিগত আওয়ামীলীগের শাসন আমলে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা হয়েছে। সেসব মামলায় একাধিকবার কারাবরণ করেছেন।