রোগীকে ভূঁয়া সনদ প্রদানের অভিযোগে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. এমকে রেজার বিরুদ্ধে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠণ করা হয়েছে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট (এনেসথেসিয়া) ডাক্তার জাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মারুফ, মেডিকেল অফিসার ডা. আদিলা আজহার।
গাংনী উপজেলা আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে এই তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুপ্রভা রানী বলেন, গাংনী উপজেলার সহড়াতলা গ্রামের জনৈক সুজন নামের এক ভূক্তভোগী মেহেরপুর সিভিল সার্জনের কাছে ডাক্তার এমকে রেজার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিলে সেটি তদন্তের জন্য গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিকট তদন্তের নির্দেশ দেন।
সে নির্দেশনা মোতাবেক আজ শনিবার (৬ আগষ্ট) এ কমিটি গঠণ করে ৭ দিন সময় বেধে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, অভিযোগকারী সুজনের স্ত্রী পারিবারিক কলহের জের ধরে গত বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে তার বিরুদ্ধে আদালতে যৌতুকের দাবীতে নারী নির্যাতনের একটি মামলা দায়ের করেন। অথচ, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার এমকে রেজা ওই নারীকে শারীরিক নির্যাতনের একটি মেডিকেল সনদ গত বছরের ২ জুন মাসে দেন। সেই সনদ মামলায় ব্যবহার করছে। এটিকে মিথ্যা ও ভূঁয়া সনদ বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী সুজন।
ভুক্তভোগী বলেন, ডাক্তার এমকে রেজা দীর্ঘদিন যাবৎ টাকার বিনিময় একই ধরণের সার্টিফিকেট প্রদান করে আসছেন।তার ইওসি এবং পিজিটি কোর্স করা আছে বললেও এখন পর্যন্ত সে কোনো সার্টিফিকেট কাউকে দেখাতে পারেনি।