মেহেরপুরের গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজে আওয়ামী লীগে সরকারের ছত্রছায়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন শাখায় পদ সৃষ্টি করে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে প্রায় কোটি টাকা বানিজ্য করেন প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ক্ষমতার দাপটে অনেক অভিযোগ শিক্ষক আফজাল হেসেন আমলে নেননি।
টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে গাংনী শহরে একাধিকবার লাঞ্চিত হন প্রধান শিক্ষক। পরে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে গেলেও খোভ দানা বাধতে থাকে প্রতারিত ভুক্তভোগী শিক্ষকদের মধ্যে।
অবশেষে প্রতারিত ও ভুক্তভোগী শিক্ষকরা বুধবার দপুর ১২ টায় প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেনের বাড়ীতে শিক্ষকরা টাকা ফেরতের দাবীতে অবস্থান কর্মসৃচি পালন করেছেন।
সহকারী শিক্ষকরা জানান, প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন আমাদের ভুয়া নিয়োগ দিয়েছেন । সরকারী কর্মকর্তাদের ভুয়া স্বাক্ষর করে আমাদের হাতে দিয়েছেন। ২০১৪ সাল থেকে আমাদের বেতন ভাতা হয়নি। আমারা টাকা ফেরত চাইলে আজ কাল করে ঘুরাতে থাকে। আমারা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেবো।
সরকারী নির্দেশ উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের বিশেষ কমিটি ক্ষমতার বলে টাকার বিনিময়ে গোপনে ৯ জন সহকারী শিক্ষককে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মোট ২৮ জন সহকারী শিক্ষক অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছেন। ২০১৪ সালে প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন ভুয়া নিয়োগের মাধ্যমে কোটি টাকা বানিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ তোলেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে ম্যাসেজ দিয়েও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক বলেন বিষয়টি আমি শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়াও নিতি আরও বলেন, ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের ৮ জন সহকারী শিক্ষককের বেতন শিটে স্বাক্ষর না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যান্য সহকারী শিক্ষকদের নিয়োগ ফাইল তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।