পৌরসভার পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মান কাজ চলছে। আর একাজে ব্যাবহৃত ইট,বালি ও পাথর প্রধান সড়কে রাখার কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। রাস্তার কোল ঘেঁসে পাথর রাখায় পাথরে পিছলে ইতোমধ্যে প্রাণহানীরও ঘটনা ঘটেছে পৌর এলাকায়। তবুও দৃষ্টিপাত না করে দেদারছে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এনিয়ে ফুঁসে উঠেছেন স্থানীয় পৌরবাসীসহ পথচারিরা। রাস্তা থেকে দ্রত পাথরসহ সব মালামাল অপসারণের দাবীতে ইতোমধ্যে মানবন্ধন করেছে স্থানীয়রা।
জানাগেছে, বেশ কিছুদিন যাবৎ গাংনী পৌরসভায় পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। একাজের দায়িত্বপান কুষ্টিয়ার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স রোমানা এন্টারপ্রাইজ। কাজ দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে গাংনী পৌরসভার প্রকৌশলী।
জনগুরুত্বপুর্ণ স্থান ও যান চলাচলে বিগ্নীত হয় এমন স্থানে নির্মাণ সামগ্রি না রাখার নিয়ম থাকলেও ঠিকাদার তার খেয়াল খুশিতে প্রধান সড়কেই রেখেছেন ড্রেন নির্মাণ কাজের মালামাল। যা নিয়ে পৌর নাগরিক সহ বিভিন্ন মহলে সমালোচিত হচ্ছে।
চলমান কাজের জন্য গাংনী পৌর এলকার জনগুরুত্বপুর্ণ রাস্তা মেহেরপুর কুষ্টিয়া সড়ক। এ সড়কের একেবারে কোল ঘেঁসে রাখা হয়েছে ইট,বালি ও পাথর। যা বিভিন্ন যান চলাচল চরমভাবে বিগ্নিত হচ্ছে। রাস্তার সাথে পাথর ও বালি রাখার কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা। এমনকি পাথরে পিছলে আতিয়ার রহমান নামের এক পৌর নাগরিকের ট্রাক চাপায় মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুকে ঠিাকাদারের অবহেলা ও যত্রতত্র মালামাল রাখাকেই দায়ি করছেন বিভিন্ন মহল। এমন দুর্ঘটনা ঘটলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে তার খেয়াল খুশিমত চালিয়ে যাচ্ছেন কাজ। জীবনের ঝুকি নিয়েই চলাচল করছে বিভিন্ন মোটরসাইকেল,ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন। পৌর সভার মধ্যে ্এমন ঘটনা ঘটল্ওে দেখছেনা পৌর কর্তপক্ষ।
অবশেষে মানুষ অতিষ্ট হয়ে মানববন্ধন করেছে। মালামাল নিরাপদে রাখুন, রাস্তা পরিষ্কার করুন, আমরা সবাই বাঁচতে চাই-এই স্লোগানে মেহেরপুরের গাংনী পূর্ব ও পশ্চিম মালসাদহের দ’ুটি পৃথক পৃথক স্থানে মানববন্ধন করা হয়েছে। মানববন্ধনে ঠিকাদার সহ কতৃপক্ষের অবহেলায় দিনমজুর আতিয়ার হোসেনের মৃত্যুর কারনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল শুক্রবার বাদ জুম্মা এলাকাবাসীর উদ্যোগে মেহেরপুর – কুষ্টিয়া প্রধান সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, আনোয়ার হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, সবুজ সহ গ্রামবাসীরা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,ঠিকাদার সহ পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলায় অবকাঠামো উন্নয়নের মালামাল জনগুরুত্বপুর্ণ রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখার কারনে দিনমজুর আতিয়ার রহমানের মৃত্যু হয়েছে। শুধু তদাই নয়,বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। রাস্তা থেকে দ্রত ইটবালি ও খোয়া অপসারণের দাবী জানান মানববন্ধনে অংশ গ্রহনকারিরা।
জুগিন্দা গ্রামের ভ্যান চালক জাহিদ জানান, আমি রোগী নিয়ে গাংনী হাসপাতালে এসেছিলাম। পাশে সাইড নেয়ার জায়গা না থাকায় বাসের ধাক্কা লাগে। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছি।
ঊাশবড়িয়া গ্রামের আব্দুল মোটর সাইকেল চালক আব্দুল মতিন জানান, রাস্তার সাথে পাথর রাখা হয়েছে। এ পাথর রাস্তায় পড়েছে। আমাদেও মোটরসাইকেল চালাতে হচ্ছে জীবনের ঝুকি নিয়ে।
কাষ্টদাহ গ্রামের আজিুল হক বলেন,কিছু কিছু জায়গায় পাথর ও বালি রাস্তায় চলে আসার কারনে আমরা সাইড নিতে পারছিনা। গুলো দ্রত অপসারণ করা উচিৎ। তা নাহলে আতিয়ার রহমানের মত অনেক কেই প্রাণ হারাতে হবে।
পৌরসভার ওয়ার্ক এ্যাসিস্টেন তানভীর রানা বলেন, আমরা কাজ দেখভাল করার দায়িত্বে রয়েছি। তবে মানুষের অসুবিধা হলে পাথর ও অন্যান্য মালামাল অপসারণ করা হবে।