যুদ্ধাপরাধ মামলায় আমৃত সাজাপ্রাপ্ত দেলোওয়ার হোসেন সাঈদীর জন্য দোওয়া ও মোনাজত করার অপরাধে গাংনী মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ঈমাম হাফেজ মাওলানা ইলিয়াছ হোসেনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পরবর্তি ঈমাম নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত মডেল মসজিদের মোয়াজ্জিনকে ইমামতির দায়ীত্ব দেওয়া হয়েছে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত ১৫ আগষ্ট বরখাস্তকৃত ইমাম মাওলানা ইলিয়াছ হোসেন নামাজ শেষে আমৃত সাজাপ্রাপ্ত দেলোওয়ার হোসেন সাঈদীর জন্য দোওয়া ও মোনাজাত করেন। এঘটনায় গাংনী উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুনতাজ আলী জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হয়। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে নির্দেশ দেন। পরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাঠ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম তাকে দায়ীত্ব পালন থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন।
এব্যাপারে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক সিরাজুম মনির বলেন, গাংনী মডেল মসজিদের ইমাম মাওলানা ইলিয়াছ হোসেনর বিরুদ্ধে স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধা বির্তকিত মোনাজাতের জন্য গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দেন। এনিয়ে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্ত করে তার সত্যতা মেলে। পরে সেখান থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দিলে ইলিয়াছ হোসেনকে ইমামতি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মাওলানা ইলিয়াছ হোসেন মডেল মসজিদের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত নন। মডেল মসজিদ হওয়ার আগে সেখানে থাকা মসজিদের ইমাম তিনি। মডেল মসজিদের জন্য সামনের মাসে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু বলেন, বহিস্কৃত ইমামের বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়। সেই অভিযোগ তদন্তে প্রমানিত হওয়ায় ইমামকে ইমামতি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত মসজিদের মোয়াজ্জিনকে ইমামতির দায়ীত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।