আপন মায়ের পেটের ছোটো ভাই সরকারি কলেজ থেকে শিক্ষকতা করে অবসরে গেলেও বড় ভাই খোরশেদ আলীর শিক্ষকতার বয়স এখনো রয়েছে দুই বছর। অধ্যক্ষ খোরশেদ আলীর এই কারিশমায় এখন হতভম্ব সুশীল সমাজ।
গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি জাফর আকবর ও দূর্ণীতিবাজ অধ্যক্ষ খোরশেদ আলীর পদত্যাগের দাবীতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তথ্য তুলে ধরেন কলেজের সিনিয়র শিক্ষক অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বেদারুল আলম।
স্থানীয় এলাকাবাসীর ব্যানারে আজ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার সময় মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গাংনী উপজেলা পরিষদ গেটে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
গাংনী পৌর বিএনপির নেতা শাজাহান সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে কলেজের আরেক শিক্ষক, সহকারি অধ্যাপক সাজেদুর রহমান বুলু বলেন, এতদিন আমরা আয়না ঘরের পাশেই অবস্থান করেছি। অধ্যক্ষ খোরশেদ আলীর দূর্ণীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই আমাদের আয়না ঘরে নিয়ে শুরু হয় টর্সার্রিং। তার ছোট ভাইয়ের শিক্ষকতার বয়স শেষ হলেও তিনি বয়স বাড়িয়ে এখনো বহাল তবিয়তে চাকুরী করছেন।
এসময় গাংনী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান, গাংনী উপজেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সুলেরী আলভী, বিএনপি নেতা ইনামুল হকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, অধ্যক্ষ খোরশেদ আলীর বিরুদ্ধে প্রায় ৬০ লাখ টাকার দূর্ণীতি সরকারিভাবে প্রমানিত হলেও এই দূর্ণীতিবাজের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তার বিরুদ্ধে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারি নিয়োগেও কয়েক কোটি টাকা লোপাটেরও অভিযোগ তোলেন বক্তারা। আগামীতে কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল নিয়োগ করা হবে। এই নিয়োগকে কেন্দ্র একটা মোটা অংকের বাণিজ্য করতে উঠে পড়ে লেগেছে অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী। ইতোমধ্যে কলেজের ব্যবস্থাপনা পর্ষদের এডহক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর। বিষয়টি নিয়ে এলাকার সুশীল সমাজ ও স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের নেতৃবৃন্দ ফুঁসে উঠছেন। তারা গত রবিবার সকালের দিকে লোকজন কলেজ প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ জানান। এছাড়া বিএনপি নেতা জাফর আকবরের পদত্যাগ দাবী করেন। তারা একই সাথে অধ্যক্ষ খোরশেদ আলীর বিরুদ্ধেও নানা শ্লোগান দেন ও তার পদত্যাগ দাবী করেন।
তারা বলেন, ঐতিহ্যবাহী মহিলা ডিগ্রি কলেজের ম্যানেজিং সভাপতি করার জন্য এলাকার সর্বজন শ্রদ্ধেয়, গ্রহণযোগ্য ও শিক্ষীত ব্যাক্তির নাম প্রস্তাব করেন। কিন্তু দূর্ণীতিবাজ অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী ও কলেজের কয়েকজন শিক্ষক সেই দাবিকে পাঁশ কাটিয়ে এলাকার বিতর্কিত ব্যক্তি জাফর আকবরকে গভর্নিং বডির এডহক কমিটির গঠনের লক্ষ্যে বিএনপি নেতা জাফর আকবরকে সভাপতি ও বালিয়াঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাহাব উদ্দীনকে বিদ্যুোৎসাহি সদস্য নিয়োগ দেওয়ার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর বরাবর সুপারিশ পাঠান।
বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর পরই ফুঁসে ওঠে স্থানীয়রা।