গাংনীর মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, হয়রানী ও মানহানিমুলক কথা বলার প্রতিবাদ এবং জন্ম সাল নিয়ে যে বিভ্রান্তিমুলক অপপ্রচার চলছে তারই প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ মো: খোরশেদ আলী।
আজ শুক্রবার সকাল ১০ টায় গাংনী মহিলা কলেেেজর সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন অধ্যক্ষ মো: খোরশেদ আলী। তিনি বলেন,আমি গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধক্ষ্য। ১৯৯৫ সাল থেকে এযাবত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। সমপ্রতি দেশে একটি বৈপ্লবিক ঘটনা ঘটেছে।এই সুযোগে হঠাৎ করে অত্র কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজেদুল ইসলাম বুলু কলেজে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃস্টি করার জন্য আমার নামে বিভিন্ন মিথ্যাচার বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করেছে। সাজেদুল ইসলাম বুলু যে বিষয়ে পড়ান দীর্ঘ ২২ বছর সেই বিষয়ে কোন ছাত্রী ভর্তি না করায় তাকে ক্লাশে উপস্থিত থাকতে হয়না। তিনি কলেজে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বাড়িতে গিয়ে প্রাইভেট পড়ান এবং মাস শেষে কলেজের বেতন ভোগ করেন। এর প্রতিবাদ করায়, সে একাধিকবার আমাকে অপদস্থ করেছে। সে শিক্ষার্থীদের সামনে দুইজন শিক্ষক কে মেরে আহত করে।
এছাড়া অর্থনীতি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক বেদারুল আলম এমন পরিস্থিতিতে কলেজে এসে নিজেকে কলেজের অধ্যক্ষ ঘোষনা দিয়েছেন এবং শিক্ষকদের হাজিরা খাতা বগলে করে নিয়ে বেড়াচ্ছে। বলে বেড়াচ্ছেন কলেজ আমার কথায় চলবে এবং অধ্যক্ষের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে কলেজ অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী আরও বলেন,তাদের অভিযোগ আমার জন্ম তারিখ সংক্রান্ত। আমি মহা: খোরশেদ আলী ও আমার ছোটভাই মুরাদ হোসেন ক্লাশ ওয়ান থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত এক সাথে লেখাপড়া করি। এলাকার সকলে মনে করতো আমরা দুজন জমজভাই। আমার যিনি বড়ভাই মো : মুজাহিদ হাসান সে আমার চেয়ে দুই বছরের বড়।তার এসএসসি ১৯৭৮ সালে।আমার আর মুরাদের এসএসসি ১৯৮০ সালে। মুজাহিদের জন্ম তারিখ সার্টিফিকেট অনুযায়ী করা হয়েছে ১/১/১৯৬৪ সাল। আর আমার জন্ম তারিক এসএসসি সার্টিফিকেট এ করা হয়েছে ৩১/১২/১৯৬৩ সাল। অর্থাৎ বড় ভাইয়ের চেয়ে আমাকে এক বছরের বড় বানিয়ে দেয়া হয়েছে। বাবা মায়ের দায়িত্বহীনতার কারনে বয়সের বিড়ম্বনা ছাড়া আর কিছুই না। পরে কলেজ প্রতিষ্ঠার অনেক আগে আমরা বয়স সংশোধন করা হয়েছে। পরে শিক্ষা বোর্ড থেকে বিধি মোতাবেক বড় ভাইয়ের এক বছরের ছোট করে আমার জন্ম তারিখ করা হয় ৩১/১২/১৯৬৫ সাল। সাজেদুল ইসলাম বুলু ও বেদারুল ইসলাম গত ২৪ সেপ্টেম্বর গাংনী উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করে। আমি এসবের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দে জানাই।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সালে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো টাকার লেনদেন হয়নি। এবং বিগত দিনেও কলেজে নিয়োগ বাণিজ্য করা হয়নি। আমি অর্থ ও পাচুর্য্য বিলাশী নই। আমি আজও একটি ভাল বাড়ি বানাতে পারিনি। আজও ভাড়া বাড়িতে বসবাস করি।
সংবাদ সম্মলনে কলেজের সহকারি অধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ রবি,মো: রমজান আলী,ও গণমাধ্যম কর্মী উপস্থিত ছিলেন।