মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ বেডের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ড কাগজে কলমে থাকলেও বাস্তবে নেই। করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা মুমূর্ষ রোগীদের অন্য হাসপাতালে রেফার করে দ্বায় সারছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে মারা যাচ্ছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্ত্বরেই। ইতোমধ্যে এক কৃষকের মৃত্যু নিয়ে নানা সমালোচনার মুখে পড়েছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা গেছে, গেল বছর করোনার সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবনে আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়। কিন্তু ওই ভবনটির সংস্কারের জন্য সাময়িক বন্ধ রাখার পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কম্পাউন্ডের একটি ভবনে আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়। করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডের যন্ত্রপাতি, অক্সিজেন ও অন্যান্য সামগ্রী পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়া হয়।
এদিকে পর্যাপ্ত অনুসঙ্গ থাকার পরেও কেন রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না। নানা অজুহাতে রোগিদেরকে অন্য হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। আবার অনেককেই নিজ বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। এমন প্রশ্ন অনেকের।
ইতোমধ্যে কাষ্টদহ গ্রাম থেকে আসা মনিরুদ্দীন নামের এক কৃষক চিকিৎসা নিতে আসলে তাকে চিকিৎসা না দিয়ে রেফার করেন। মুমূর্ষাবস্থায় তাকে অক্সিজেনও দেয়া হয়নি। ফলে তার মৃত্যু হয়।
মনিরুদ্দীনের স্বজনরা জানান, বাড়িতে মনিরুদ্দীনের অবস্থার অবনতি হলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। কিন্তু ইুমার্জেন্সী বিভাগের ডাক্তার বাড়ি নিয়ে আসতে বলে। পরে আবার মেহেরপুর রেফার্ড করেন। এই সময়ে তাকে অক্সিজেনও দেয়া হয়নি বলে স্বজনদের অভিযোগ।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, আউটডোরের বেঞ্চে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে না। কোনটা করোনা আক্রান্ত রোগি আর কোনটা জেনারেল রোগি তা দেখে বোঝার উপায় নেই। করোনা রোগীদের স্যাম্পুল নেয়ার জন্য আলাদা কোন স্থানও নির্ধারণ করা হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাশেদুল হাসান শাওন জানান, সব ধরণের ব্যবস্থা আইসোলেশন ইউনিটে রয়েছে। কোন সমস্যা নেই। কিন্তু কেন ওই রোগিকে অক্সিজেন দেয়া হয়নি তা দেখা হবে।