গাংনী শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত তহবাজারের হাটটি দীর্ঘদিনের। গাংনী উপজেলার কয়েক শত হাটের মধ্যে সব থেকে বড় ও জনবহল এ হাট।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে এ হাটকে কেন্দ্র করে রাজনীতি করছে আবার কেউ ষড়যন্ত করছে। হাটের বিরুদ্ধে রীতিমত চক্রান্তে নেমেছে বলে অভিযোগ করেছে বর্তমান হাটের ইজারাদার।
বিগত দিনের হাট পরিচালনার আলোকে হাট পরিচালনা করা হচ্ছে। এর বাইরে শুধু কিছু উন্নয়ন করা হয়েছে এ হাটের। কিছু নিয়ম পরিবর্তন করে পাল্টিয়ে দেওয়া হয়েছে হাটের পরিবেশ। আগের মত গন্ধ নেই, ময়লা আবর্জনাও নেই হাটের মধ্যে। ময়লা পরলে লোকজন গুছিয়ে নেয় তাৎক্ষনিক।
পাশপাশি পানি দিয়ে সমস্ত কিছু ভালো করে পরিস্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছাড় দেওয়া হচ্ছে গরিব অসহায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের খাজনা।
কিন্তু তারপরেও একটি নানা চক্রান্ত করছে এ হাটের বিরুদ্ধে। দেরশত বছর আগের হাটের জমির মালিকানা নিয়ে কেউ দাবি করছে আবার হাটের নির্মাণ করা টিনের সেড এরও দাবি করছে কেউ কেউ। কেউ বলছে আমার জমির পজিশনের সামনে আবার হাট কি এটাতো আমার নিজের জমি।
এমনই প্রতিদিনই নতুন নতুন অভিযোগ করছে।
হাটের নির্মাণাধীন সেডের দাবি শেষ, এবার এলো হাটের জমির মালিকানা, জমির পরে গেল নিজের জমির পজিশনের দাবি, সেই দাবিও যখন শেষ হচ্ছে ঠিক সেই সময়ে আসলো অতিরিক্ত খাজনায় আদায়ের অভিযোগ।
তাও আবার খাজনার কারণে নাকি বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এসব ষড়যন্তের একটিই উদ্দ্যোশ্যে সেটা হল গাংনী পৌর শহরের একমাত্র ঐতিহ্যবাহী হাটটি যেন অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। আর এরসাথে জমিখেকোদের জমিটি দখল করতে সুবিধা হবে।
অথচ এই হাটের মাধ্যমে পৌরসভার বিপুল পরিমাণ আয় আসে। যা দিয়ে পৌরসভার উন্নয়নসহ নানামুখি নাগরিক সুবিধা প্রদান করা হয়।
গাংনীতে সবজি বিক্রেতা আব্দুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে একই রকম খাজনা দিয়ে আসছি। নতুন করে খাজনা বারিয়েছে এমন নয়। তুলনা মূলক খাজনা কম। শীতের শুরুতে সব ধরনের সবজি সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি পায়। এই সবজির দামের সাথে খাজনার কোন সম্পর্ক নেই।
কসাইখানার নেতা হযরত আলী জানান, কসাইখানার পরিবেশ পাল্টিয়ে দিয়েছে নতুন ইজারাদার। এখন আর কসাইখানায় রাতেই বেলায় কুকুর আসে না। গন্ধও নেই কসাইখানায় ফলে আগের তুলনায় এখন বেচাবিক্রি বেরেছে আমাদের। ইজারাদারের কারনে মাংসের দাম বেশি নেওয়া এটা ঠিক নয়। এখন মাংস বিক্রি হয় পৌরসভার নির্ধারিত মূল্যে।
বাজার ইজারাদার হাফিজুর রহমানের বলেন, আমাদের যে ইজারাদার ছিলো তাদের দেখানো পথে আমরা চলছি। আমরা শুধু হাটে বসার পরিবেশটা ভালো করেছি। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী হাটের খাজনা আদায় করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন সরকারী নিয়ম যেভাবে চালু আছে এখনও সেভাবে চালু আছে। গাংনীতে পৌরসভার এ হাটে সবধরনের নিয়ম মেনে পরিচালনা করা হচ্ছে। কারো কোন অভিযোগ থাকলে আমাদের জানালে আমরা তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেব।
গাংনী পৌরসভার মেয়র আশরাফুল ইসলাম বলেন, গাংনী পৌরসভার তহবাজার নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র বিভিন্ন সময়ে হয়ে আসছে। এটাও একটা ষড়যন্ত্র। আমরা সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে পেরেছি এটাও করব। কারো অভিযোগ থাকলে আমার নিকট করবে, আমি বিষয় গুলো দেখে পদক্ষেপ নেব। গাংনী উপজেলার সকল হাট যে নিয়মে চলে গাংনী পৌর এলাকার হাট গুলোয় তার ব্যতিক্রম নিয়মে চলবে না।
-নিজস্ব প্রতিনিধি