গাছের ডালে ডালে ঝোলানো হচ্ছে পাখিদের ‘নীড়’। পাখির অভয়ারণ্য গড়তে চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রতিটি গাছের ডালে ‘নীড়’ বেঁধে দিচ্ছেন জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস। গতকাল সোমবার সকালে চুয়াডাঙ্গা শহরের পুলিশ লাইনের সামনে থেকে গাছের ডালে কলস ও বাঁশের তৈরি পাখির বাসা বেঁধে দিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম।
‘পুলিশের বিচরণ যেখানে, পাখিদের অভয়ারণ্য সেখানে’ এ স্লোগানে পাখিদের বাসা গড়ার উদ্যোগ নেন পুলিশ কর্মকর্তা। জেলার ৫টি থানা, ১টি ফাঁড়ি, ৩০টি ক্যাম্প ও ৩৯টি স্থাপনায় পাখিদের অবাধ বিচরণে পাঁচ হাজার মাটির কলস ও বাঁশের খুপড়ি বেঁধে দেয়া হচ্ছে। যেখানে বাস করতে পারবে ২০-২৫ হাজার পাখি।
জেলা ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস জানান, করোনাকালে মানুষ যখন গৃহবন্দী ছিলো তখন তিনি প্রতিবেলায় পাখিদের খাবার ব্যবস্থা করে দিতেন। এখনো তিনি পাখিদের সেই খাবার সরবরাহ করেন। তবে এবার পাখিদের নিরাপদ বাসস্থান গড়তে তিনি এ উদ্যোগে নিয়েছেন।
বাসা বেঁধে দেয়ার কাজ শুরু করে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ এখন অনেক মানবিক। শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নয়, বিভিন্ন সামাজিক কাজেও পুলিশের অংশগ্রহণ আশানুরূপ। সেই কাজের অংশ হিসেবে পশু পাখিদের বাসা তৈরির এ উদ্যোগ অবশ্যই সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। পুলিশ এখন শুধু জনতার নয়, প্রাণীদেরও।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ফকরুল ইসলাম, শাহাব উদ্দীন ও মাহফুজ আহমেদ।