মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়ীয়াতে ঈদগাহ ময়দান, কবরস্থান ও কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজের সাথেই গরু ছাগলের খামার স্থাপন করছেন একই গ্রামের আব্দুল করিমের পুত্র ধনীউল্লাহ। উপজেলা প্রশাসন থেকে বারবার নিষেধাজ্ঞা দিলেও মানছেন না খামারী ধনীউল্লাহ।
জানা গেছে, গত ১২ আগস্ট গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন তিন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ,সেক্রেটারি ও প্রধান শিক্ষকসহ সাধারণ জনগণ।
অভিযোগের ভিত্তিতে আজ সোমবার সরেজমিনে তদন্ত করেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মস্তোফা জামান। পরিদর্শন শেষে তিনি খামার নির্মাণের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে কবরস্থান কমিটির সভাপতি মোফাজ্জেল আলী জানান, বার বার নিষেধ করার পরেও তারা খমার স্থাপন করেই চলেছে। এই খামার হলে আমাদের জানাযার নামাযের ব্যাঘাত ঘটবে, পূর্বেও নিষেধ করেছি এবং প্রশাসন কে অবহিত করেছি কিন্তু কাউকে তোয়াক্কা না করেই নিজের ইচ্ছে মতই খামার নির্মাণের কাজ শেষ করছেন। ক্ষমতার জোর দেখিয়ে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাফিজুল ইসলাম জানান, আমাদের স্কুল এন্ড কলেজের খেলার মাঠের সাথেই স্থাপন হচ্ছে এই গরু ছাগলের খামার। যা ছেলে মেয়েদের খেলা ধুলা করতে সমস্যা হবে। সেই সাথে পাশেই ক্লাসরুম ছেলে মেয়েদের ক্লাস করাতে গিয়েও দুর্গন্ধ ছুটতে পারে। তাছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান ক্ষুন্ন হবে।
গাড়াবাড়ীয়া জান্নাতুল মাওয়া ঈদগাহ ময়দানের সভাপতি রেজাউর রহমান জানান, আমাদের ঈদগাহ ময়দানের মিনারের সাথেই এই খামারটি স্থাপন করছেন যা আমাদের ঈদের নামাযের ব্যাঘাত ঘটাবে।
এ বিষয়ে খামারের মালিক ধনী উল্লাহ বলেন, বেশি গরু পালনের সিদ্ধান্ত নেই। কোন রকম খামারটি কষ্ট করে দাঁড় করাচ্ছি। পরে আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ দায়ের করলে আমি কাজ বন্ধ রেখেছিলাম। কিন্তু এখন প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই কাজ শুরু করেছি।
আমি ও কাথুলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলজার হোসেন সরাসরী ইউএনও স্যারের কাছে থেকে অনুমতি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। আমি কোন অন্যায় বা প্রশাসনের নিয়ম কে অবমাননা করিনি। কেউ বলতেও পারবে না কারর কোন ক্ষতি করেছি বা কারোর কিছু মেরে কেটে নিয়েছি। আমার বাড়ির যায়গা অল্প যার কারনে এখানে গরু পালন করার সিদ্ধান্ত নিই। ছেলেরও চাকরী বাকরী নাই কিছু তো করতে হবে সেই জন্যেই এই খামার স্থাপন করেছি।
এ ব্যাপারে খামার মালিকের জামাই নাজমুল হুসাইন বলেন এটা নির্মান করেছি এবং উদ্দ্যেক্তার কর্যক্রম হাতে নিয়েছি খারাপ বা অন্যায় কোন কিছু করা হয় নি। তার জমির নিজস্ব কোন পথ আছে কি জিজ্ঞেস করলে বলেন নেই। তবে জানান খেলার মাঠের উপর দিয়েই আমরা বর্তমানে চলাচল করে।