গাংনীর গাড়াবাড়ীয়া হলদে পাড়ায় প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকার অনশন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪ টার সময় থেকে মহজনপুর গ্রামের একটি মেয়ে গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের জামাল উদ্দীনের ছেলে শামীম রেজার বাড়িতে আসেন। মেয়েটি বর্তমানে দশম শ্রেনীর ছাত্রী।
মেয়েটি জানান, শামীমের সাথে আমার তার এক বছর ধরে সম্পর্ক আছে। সে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন যায়গা তে ঘরাতে নিয়ে যায়। এবং আমিও তাকে বিশ্বাস করে সরল মনে তার সাথে ঘুরতে যায় । কিন্তু সে আমার সরলতার সুযোগ নিয়েছে।
৮ মাস আগে খলিসা পড়ি গ্রামের হামিদ আলীর সাথে তার বিয়ে হয়। তা সত্বেও শামীম আমাকে নিয়ে ঘর বাধার সপ্ন দেখায়। তার প্রতিশ্রুতিতে আমি যখন সব কিছু ছেড়ে তার বাড়ি চলে এসেছি । এখন সে আমাকে অস্বীকার করছে। আমি না পারছি সেই স্বামীর বাড়ি ফিরে যেতে না পারছি বাপের বাড়ি যেতে। এখন আমার মরন ছাড়া কোন উপায় নেয়।
স্থানীয়দের মধ্য ইমরান হোসেন জানান, গত ০৩-০৯-২০২০ তারিখে মেহেরপুর ক্যাফে গার্ডেনে এরা ঘুরতে গেছিলো সেখানে তাদের স্থানীয় রা ধরেন এবং মেহেরপুর সদর থানার এস আই এনামুল হকের হাতে তুলে দিয়ে থানায় পাঠান।পরে সেখানে আমরা গিয়ে মিট মাট করে এসেছিলাম তার পরেও মেয়ে আজ ছেলের বাড়ি তে অবস্থান করেছে।
এ বিষয়ে শামীমের পিতা জামাল উদ্দীন জানান, এই মেয়ে কে আমার মেনে নেওয়া সম্ভব না। মেয়ে বিবাহিত এবং সে তার আগের স্বামীকে তালাক না দিয়েই এখানে চলে এসেছে। তাছাড়া আমার ছেলে ঢাকায় চাকরী করেন। সে কখনই এই মেয়ের সাথে সম্পর্ক করার কথা না।
মেয়েকে আগের স্বামীকে তালাকের ব্যাপারে জিঙ্গেস করলে জানান, আমি কালকে তাকে বাদ দিয়ে দিবো। শামীম আমাকে ভালো বাসে আমি তাকেই বিয়ে করবো। শামীম যদি বিয়ে না করে আমি এখানে মরবো, তাও বাড়ি যাবো না।