গায়ের হলুদ গন্ধ না শুকাতে বিষ পানে আত্নহত্যা করেছে নববধূ রুবাইয়া খাতুন (১৮) গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার বটিয়াপাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে। পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদেমপুর ইউনিয়নের বটিয়াপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে রুবাইয়া খাতুনের সাথে একই উপজেলার হারদি ইউনিয়নের ওসমানপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে সৌদি প্রবাসী রুবেলের সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের এক সপ্তাহ পার না হতেই বৃহস্পতিবার বিষ পানে আত্নহত্যা করে নববধূ।
এ ঘটনায় নিহত রুবাইয়া খাতুনের মা রোজিনা খাতুন বলেন, গত এক সপ্তাহ পূর্বে আলমডাঙ্গা উপজেলার ওসমানপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে সৌদি প্রবাসী রুবেলের সাথে আমার মেয়ে রুবাইয়ার সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বুধবার দুপুরে আমার জামায় রুবেলের সাথে আমার মেয়ে আমার বাড়িতে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে সকলের অজান্তে নিজ শয়নকক্ষে বিষপান করে।
তিনি আরও বলেন, গত এক বছর যাবত আমার মেয়ের মাথায় সমস্যা ছিল। তার কবিরাজি চিকিৎসাও চলছিল। মূলত মাথার সমস্যার কারণেই আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রুবাইয়া খাতুনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
পাঁচকমলাপুর ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসএই) আছের আলী বলেন, ছয় মাস পূর্বে মোবাইলের মাধ্যমে প্রবাসি রুবেলের সাথে বিবাহ হয় রোকেয়ার। এক সপ্তাহ আগে রুবেল বাড়িতে আসলে বিয়ে তোলা হয়। এরপর শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসে তারা। বৃহস্পতিবার সকালে রোকেয়া বিষপান করে আত্মহত্যা করে। তার মাথায় সমস্যা ছিল বলে জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি আইনগত প্রক্রিয়াধীন।