স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের ভিডিও করে টিকটক তৈরী করে ভাইরাল। টিকটকার গড়াইটুপির সতিনাথ কর্মকারকে ভ্রাম্যামান আদালতে জরিমানা করা হয়েছে। সে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের বিমল কর্মকারের ছেলে।
জানাযায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন গড়াইটুপি ইউনিয়নের কয়েকজন স্কুলগামী ছাত্রী শিক্ষার্থীর ভিডিও করে টিকটক তৈরীর পর তা ছড়ানো হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এ টিকটক মূহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে পড়ে ফেসবুকে। তা প্রশাসনের নজরে পড়লে টিকটকারকে সনাক্ত করে আটক করে তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশ। পরে তাকে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হলে আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সতিনাথ কর্মকার (৩০) নামের এক টিকটকারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এসময় অভিযুক্ত ভ্রাম্যমান আদালতকে জরিমানার টাকা পরিশোধ করে কারাদন্ড থেকে রেহায় পায়।
তিতুদহ ক্যাম্পের এএসআই ইদ্রিস আলী বলেন, বেশ কিছুদিন পূর্বে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন গড়াইটুপি ইউনিয়নের গড়াইটুপিতে কয়েকজন স্কুলগামী স্কুল ছাত্রীর ভিডিও করে টিকটক তৈরীর পর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছাড়া হয়। এ ভিডিও মুহুর্তের মধ্যে ভইরাল হওয়ায় আমাদের নজরে পড়ে।
এরপর টিকটকারকে সনাক্ত করে তাকে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে গড়াইটুপি থেকে আটক করা হয়।
আটকের পর তাকে হাজির করা হয় ভ্রাম্যমান আদালতে। এসময় ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) .মাজহারুল ইসলাম অভিযুক্তকে স্কুল শিক্ষার্থীদের ভিডিও করে টিকটক বানিয়ে ফেইসবুকে ভইরাল করার অপরাধে সতিনাথ কর্মকার (৩০) নামের ওই ব্যাক্তিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ফলে অভিযুক্ত সতিনাথ কর্মকার ভ্রাম্যমান আদালতের দেওয়া প্রদানকৃত রায়ের জরিমানার টাকা পরিশোধ করে মুক্ত হয়। অভিযুক্ত টিকটকার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের বিমল কর্মকারের ছেলে।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ এ এইচ এম লুৎফুল কবির বলেন যারা এ ধরনের কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকবে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।