ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে মেহেরপুর। সকাল থেকেই জেলার প্রকৃতি ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে। ভোরে সূর্যোদয় হলেও কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশে নিখোঁজ রয়েছে সূর্যের আলোর ঝলকানি। সকাল পৌনে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কুয়াশার কারণে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি মেহেরপুরে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাত থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মেহেরপুরের গ্রাম-গঞ্জ আর শহরের পথঘাট ছিল কুয়াশায় ঢাকা। শহরের পিচঢালা সড়কগুলোও ভিজেছে ঘন কুয়াশার শিশিরবিন্দুতে। গাছগাছালি ভরা সবুজ-শ্যামল প্রকৃতিও কুয়াশায় ধোঁয়াচ্ছন্নরূপ পেয়েছে।
এ অবস্থায় ভোর থেকে সড়ক-মহাসড়কগুলোতে ছোট-বড় যানবাহনগুলোকে গতি কমিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। ভোর থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত মেহেরপুর শহরে, মেহেরপুর- কুষ্টিয়া সড়ক, মেহেরপুর- চুয়াডাঙ্গা সড়ক, গাংনী উপজেলা শহরসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার দাপটে সড়কে মানুষের উপস্থিতি কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মজীবি মানুষ ছুটছেন তাদের কর্মস্থলে।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম জানান, আজ সোমবার মেহেরপুরে সকাল ৯ টায় ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৯৫%, কুয়াশার দৃষ্টি সীমা ৭০০ মিটার।
কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় পথঘাটে থাকা ছিন্নমূল অসহায় মানুষের কষ্ট বাড়িয়েছে। যদিও এই কুয়াশা আগবাড়িয়ে মনে করে দিচ্ছে শৈত্যপ্রবাহের কথা।
এমন ঘন কুয়াশা পড়লে কৃষিতে ক্ষতির আশংকা করছেন এ অঞ্চলের কৃষক। শীতে বোরো বীজতলা ও রবি ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে কোল্ড ইনজুরি ও পচনসহ মড়ক বেড়ে যায়। তবে এ ব্যাপারে কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও করণীয় সম্পর্কে তাদের অবগত করা হয়েছে বলে জানান গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন।