প্রবাসীদের সহযোগিতায় বিশ্বস্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে ঘর পেল মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের সেই অন্ধ পরিবার।
ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস সংসারের একমাত্র আয়ের উৎস স্বামী শাহিন হোসেন। স্বামী ছাড়া পরিবারের তিনজনই অন্ধ প্রতিবন্ধী,স্ত্রী পারেছা খাতুন,বড় ছেলে পারভেজ(৪), ছোট ছেলে শাওন(২) অভাব অনটনের মধ্যেই তাদের জীবনের পথচলা। বিভিন্ন গণমাধ্যমে যখন ছড়িয়ে পড়ে তাদের এই অসহায়ত্বের কথা তখন তাদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় প্রবাসী ও গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের ঝোড়াঘাট গ্রামের বিশ্বস্ত স্বাস্থ্যসেবী সংস্থা।
বিশ্বস্ত স্বাস্থ্যসেবী সংস্থার সভাপতি ইউসুফ আলী বলেন, আজ আমরা অনেক আনন্দিত। আমরা একটি অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি। এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের পরিশ্রম ও প্রবাসী ভাইদের জন্য, তাদের সহযোগিতায় আমরা এখানে একটি খাড়া টিন সেটের ঘর এই প্রতিবন্ধীদের হস্তান্তর করলাম। আমাদের এই ঘরটা নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে ৫৩ হাজার টাকা। আমাদের এই সংগঠনে কাজ করছে ৫৪জন যুবক, যাদের নিরলস পরিশ্রম আমাদের দিনদিন সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা আরও একটি ঘরের কাজ হাতে নিয়েছি ইনশাল্লাহ সেই অসহায় পরিবারের হাতে হস্তান্তর করবো। আপনাদের সহযোগিতা আমাদের একান্ত কাম্য।
বিশ্বস্ত স্বাস্থ্যসেবী সংস্থার সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, আমরা এই অসহায় পরিবারের কথা শুনে প্রবাসী ভাইদের জানালে তারা আমাদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে।আমাদের সংস্থা ও প্রবাসী ভাইদের সহযোগিতায় ঘরটি নির্মাণ করে তাদের হাতে তুলে দিতে পেরে আমরা সত্যিই খুব আনন্দিত।
এছাড়াও আমরা ছয়টি অসহায় পরিবারের প্রতি মাসে যে বিদ্যুৎ বিল আসে তাপরিশোধ করি। রাতের আধারে মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য রাস্তায় ৫ টা এনার্জি লাইট বসানো হয়েছে।এছাড়াও এতিম, অসহায়, নিপীড়িত, নির্যাতিত ও অনাহারে দিন কাটাচ্ছে যে সকল পরিবার তাদের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের মূল লক্ষ্য এতিম অসহায় শিশু যারা লেখাপড়া করতে পারে না তাদের বিনা পয়সায় প্রাইভেট পড়ানোর ব্যবস্থা করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য বৃন্দ, দিপু, হৃদয়, সুমন, রুবেল, তুহিন, হাসিবুল, তুষার, শাহ আলম,আকাশ হাসান প্রমুখ।