মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চরগোয়াল গ্রামে সেনাবাহিনীর চাকুরী দেওয়ার নামে সবুজ নামের এক যুবকের টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রামনগর পশ্চিম পাড়া গ্রামের আকরাম আলীর ছেলে রাজিবকে সেনাবাহিনীতে চাকুরী দেওয়ার নাম করে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন চরগোয়াল গ্রমের রূপসী বাংলা ক্লাব পাড়ার রাজমিস্ত্রি বাদল হোসেনের ছেলে সবুজ।
রাজীবের বাবা আকরাম হোসেন জানান, আমার ছেলেকে সেনাবাহিনীর চাকুরী দেবে এমন শর্তে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকার চুক্তি করে সবুজ ও বাদল। সবুজের বাবা বাদল আমার নিকট থেকে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা নগদ গ্রহণ করেন। বাকী ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বাবদ আমার নিকট থেকে ব্যাংক চেক ও স্টাম্পে গ্রহণ করে। চাকুরী হলে বাকী টাকা পরিষদ করে চেক ও স্টাম্প ফেরত দেবে এমন শর্তে কথা হয় বাদলের সাথে।
তিনি আরো বলেন, আমার ছেলেকে চাকুরী দিতে পারেনি আমার টাকা ফেরত না দিয়ে সবুজ পালিয়েছে চেক ও স্টাম্প সবুজের বাবা বাদলের কাছে রয়েছে। আমি টাকা ফেরত চাইতে গেলে টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছে। আপনি যে বাদল ও সবুজকে টাকা দিয়েছেন তার প্রমাণ কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, আমার ছেলে রাজিব গোপনে টাকা দেওয়ার ভিডিও ধারণ করে রেখেছে মোবাইলে।
এবিষয়ে রাজিব জানান, সবুজ আমাকে এসএমএস করতে বলে, পরে সেনাবাহিনী থেকে এসএমএস আসার পরে আমাকে নিয়ে সবুজ যশোরে যায়। যশোরে যাওয়ার পর সবুজ আমাকে লাইনে যেতে নিষেধ করে। বলে যে তুমি এখানেই থাকো বিকেলে তোমার এপার্টমেন্ট লেটার আমি নিয়ে আসবো। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যার পর সবুজ এসে বলে, এপার্টমেন্ট লেটার দিতে কয়দিন দেরি হবে তুমি বাসায় চলে যাও। সবুজের কথামতো বাসায় ফিরে আসি। পরে সবুজকে ফোন দিলে সবুজ আমার সাথে আর যোগাযোগ করে না। পরে জানতে পারি বাদল ও সবুজ বাড়ি থেকে পালিয়েছে।
এব্যাপারে সবুজের চাচা মুন্নার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি, এমনকি সবুজ ও সবুজের বাবাকে বলেছি টাকা ফেরত দিতে। স্থানীয় একজন যুবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সবুজ কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজে লেখাপড়া করছে। তার সবচেয়ে বড় নেশা হচ্ছে মেয়ে ও নিত্যনতুন পোশাক।
সবুজ মানুষের সাথে প্রতারণা করে বিভিন্ন নামিদামি হোটেল ও বিভিন্ন দামি পোশাক ব্যবহার করেন। তার বাবা রাজমিস্ত্রি হলেও ঠিকমতো কাজ পান না। তার পরেও মাঝে মাঝে প্রায় মোটরসাইকেল পরিবর্তন করেন দামি পোশাক কোথায় পান প্রশ্ন গ্রামের সাধারণ মানুষের।
এ ব্যাপারে সবুজের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিয়েও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এব্যাপারে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বজলুর রহমান জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।