মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামের চাঞ্চল্যকর আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুর রহমান বেল্টু হত্যা মামলা ফের আলোচনায় উঠে এসেছে।
দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি স্থবির হয়ে থাকলেও আগামী ধার্যদিন থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন সরকারি পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী শহিদুল হক।
গতকাল বৃহস্পতিবার মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রিপতি কুমার বিশ^াসের আদালতে মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
মামলার বাদি সাইদুর রহমান বেল্টুর মা সখিনা খাতুন বছর খানেক আগে মুত্যুবরণ করেন। গতকাল সাইদুর রহমান বেল্টুর ছেলে সারেক রহমান আদালতে হাজির হয়ে মামলার বাদি হয়ে মামলাটি পরিচালনা করার আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক অনুমতি দেন।
আদালতে আসামিদের মধ্যে বামন্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল বিশ^াসসহ ৮ আসামি উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২৯ নভেম্বর রাতে গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে গুলি করে খুন করা হয় এলাকার জনপ্রিয় আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুর রহমান বেল্টুকে। একদিন পর ১ ডিসেম্বর সাইদুর রহমান বেল্টুর মা সখিনা খাতুন বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামি উল্লেখ করে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৫ সালের ২৯ জুন বামন্দী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল বিশ^াস প্রধানসহ ১৬ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
বাকি আসামিরা হলেন- বামন্দী পশ্চিমপাড়ার মৃত আমিরুল ইসলামের ছেলে মো: সুজন, জয়নাল আবেদীনের ছেলে সেন্টু, মৃত বুলুর ছেলে কনক, বামন্দী পশ্চিমপাড়ার মৃত আবুলের ছেলে রফিকুল ইসলাম, আব্দুর রহিমের ছেলে মো: রহিদুল, কাজিপুর ফকিরপাড়ার শামসুল হকের ছেলে ফজলু, ছাতিয়ানের নুর ইসলামের ছেলে শহিদুল ইসলাম ইমন, বামন্দী নিশিপুরের আশরাফুল ইসলামের ছেলে সাগর আলী, তেরাইলের আমিরুল ইসলামের ছেলে মো: সামরুল, বালিয়াঘাটের রাশিদুলের ছেলে মিঠুন আলী, হাড়াভাঙ্গার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে লাভলু হোসেন, ছাতিয়ানের মৃত গঞ্জের আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম, ঝোড়াঘাটের জহির মালিথার মো: লালন, নিশিপুর গ্রামের আমীর আলীর মো আলী, বালিায়াঘাটের আত্তাহিমের ছেলে আরজ আলী। এর মধ্যে কয়েকজন আসামি মৃত্যুবরণ করেছেন এবং বাকিরা জামিনে রয়েছেন।
মামলার সরকারি পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী শহিদুল হক বলেন, বাদির মৃত্যুসহ নানা কারণে মামলাটি দীর্ঘদিন পার হয়েছে।
মামলার অন্যতম সাক্ষী ও হত্যার শিকার সাইদুর রহমান বেল্টুর ছেলে সারেক রহমান বাদি হয়ে মামলাটি পরিচালনার আবেদন করায় মামলাটি এবার দ্রুত নিষ্পত্তি হবে বলে আশা করছি।