মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামের সেই চারু তারিণের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে তার কুষ্টিয়ার ভাড়াবাসা থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তারিন গাংনী উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামের মশিউর রহমান ওরফে হাসান আলীর মেয়ে। তার স্বামী নবীন এর বাড়ি কুমিল্লাতে। ব্যবসায়ীক সূত্রে কুষ্টিয়া শহরে বসবাস করেন। তারিণের দুই বছর আগে বিয়ে হয়। বর্তমানে তার একটি শিশু রয়েছে।
তবে, তার ফেসবুকের দুটি স্ট্যাটাস মানষের মনে সন্দেহের উদে্র্যক দেখা দিয়েছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা কল্পনা।
তবে, তারিনের ছোট চাচা মাসুদ জানিয়েছেন, এটি আত্মহত্যা নয়। স্বামী নবীন ও তার প্রথম স্ত্রী তাকে হত্যা করে আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে।এছাড়া তার স্বামী ও প্রথম স্ত্রী মিলেই তারিনের মোবাইল ফোন থেকে ফেসবুকে নানা ধরনের স্ট্যাটাস দিয়েছে। এটা একটা সাজানো নাটক। সুষ্ঠ তদন্ত করে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো হবে তার স্বামীকে।
এঘটনায় কুষ্টিয়াতে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারিনের পরিবার।
উল্লেখ্য, তারিনের ফেসবুকে স্ট্যাটাস ছিল ভালোবাসি তোমাকে দাদি, আমি ছুটি পেয়েছি এবার তোমার কাছে আসছি।
উল্লেখ্য, তারিন বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ছবি একে টেলিভিশন, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়াতে সাড়া ফেলেছেন। তাকে বিভিন্ন সংস্থা থেকেও বিভিন্ন ভাবে এ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার সম্পাদনায় কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। এলাকায় তাকে চারু তারিন নামেই চেনে।
এদিকে, তারিনকে নির্যাতনকারী স্বামী নবিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন ও তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মেহেরপুর প্রতিদিনের প্রকাশক এম এ এস ইমন, সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, সঙ্গীত শিল্পি শাফিনাজ আরা ইরানি, শামিম জাহাঙ্গীর সেন্টু, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আযম, সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মাহবুবুল হক মন্টু, সাহিত্যিক ও প্রবন্ধকার সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল আমিন ধুমকেতু. জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক কালু, অরণি থিয়েটারের সভাপতি নিশান সাবের, সম্পাদক আতিক স্বপন, সাহিত্য পরিষদের সভাপতি নুরুল আহমেদ, প্রবীণ চারুশিল্পী গোলাম মোস্তফা, চারুশিল্পী বাকা বিল্লাহ, সাংস্কৃতিক কর্মী অনল,সুমন, চমক,বাবু, অঞ্চল প্রমূখ।