এক কাপ চায়ের চুমুকে অনেকের সকাল শুরু হয়। এর ব্যতিক্রম হলে চা প্রেমীদের দিনটাই মাটি হয়ে যায়। আজ চা প্রেমীদের দিবস। রাস্তার ওলিতে গলিতে সব জায়গায় চায়ের টং এর দোকান চোখে পড়ে যেখানে হরেক স্বাদের চা পাওয়া যায়। এটি বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষের সবচেয়ে প্রিয় পানীয়।
শরীরের ক্লান্তি দূর করতে বা কাজের ফাঁকে এক কাপ চায়ের জুড়ি নেই। বন্ধু বা প্রিয়জনের সাথে এক কাপ ধূমায়িত চায়ের তৃপ্তি কত সম্পর্ক দৃঢ় করে। এজন্যই হয়তো কবীর সুমন গেয়েছিলেন, ‘এক কাপ চায়ে আমি তোমাকে চাই, ডাইনে ও বায়ে আমি তোমাকে চাই…।’
চায়ের ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, চা পানীয় হিসেবে পান শুরু হয় প্রথম চীনে। ন্যাশনাল টুডে’র তথ্য অনুযায়ী, প্রতি সেকেন্ডে মানুষ ২৫ হাজার কাপ চা পান করেন। অর্থাৎ প্রতিদিন দুই বিলিয়ন কাপেরও বেশি চা পান করা হয়। অন্যদিকে ওয়ার্ল্ড অ্যাটলাসের তথ্য অনুযায়ী, চা উৎপাদনের দিক থেকে বাংলাদেশ ১২তম। বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে থাকা দেশগুলো হলো চীন, তুরস্ক, ইরান, ইন্দোনেশিয়া, আর্জেন্টিনা, জাপান ও থাইল্যান্ড।
২০০৫ সালে চা উৎপাদনকারী দেশগুলো এক হয়ে আন্তর্জাতিক চা দিবস পালন করে। এই দেশগুলো হলো- শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, মালয়েশিয়া ও উগান্ডা। পরে ২০১৯ সালে ২১ মে বিশ্ব চা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ চা দিবসকে হ্যাঁ বলে। ২০২০ সালের ২১ মে জাতিসংঘ প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব চা দিবস পালন করে।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্য মতে, চা উৎপাদনের অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করে ২০২৩ সালে মোট ১০২ দশমিক ৯২ মিলিয়ন কেজি অর্থাৎ ১ লক্ষ টনের কিছু বেশি চা উৎপাদিত হয়েছে। ১৯৭০ সালে বাংলাদেশে চা বাগানের সংখ্যা ছিল ১৫০টি, বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ১৬৮টি।
সূত্র: ইত্তেফাক