মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের নারী ও শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রয়েছে। শনিবার সকালে মেডিকেল অফিসার ডা. মাহাবুব রহমান ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে কথা কাটাকাটির পর তিনি নারী ও শিশু ওয়ার্ডের রাউন্ড ও চিকিৎসা সেবা বন্ধ ঘোষণা করেন। এতে হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে বহু রোগী বাধ্য হয়ে অন্যত্র চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, সকালে এইচডিইউ বিভাগে মুমূর্ষু অবস্থায় এক রোগী ভর্তি হন, যিনি কয়েকদিন আগেও একই বিভাগে ভর্তি ছিলেন। রাউন্ডের সময় ডা. মাহাবুব রোগীর পূর্বের ব্যবস্থাপত্র দেখতে চান। স্বজনরা তা দেখাতে না পারলে তিনি চিকিৎসা সেবা বন্ধের কথা বলেন এবং রুঢ় আচরণ করে চলে যান। এরপর রোগীর স্বজনরা এর কারণ জানতে চাইলে কথাকাটাকাটি হয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ডা. মাহাবুব তার হাসপাতালের ২২৪ নম্বর কক্ষে গিয়ে ঘোষণা দেন, নারী ও শিশু বিভাগের সকল চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকবে। পরবর্তীতে নারী ও শিশু বিভাগের রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হন। হাসপাতালের নার্সরা শুধুমাত্র রুটিন চেকআপ চালিয়ে যাচ্ছেন।
রোগীর স্বজন মিজানুর রহমান বলেন, আমার স্ত্রী আজ সকালে ভর্তি হয়েছে, কিন্তু দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত কোনো চিকিৎসক চিকিৎসা সেবা দেননি।
আরেক স্বজন সামিমা রহমান জানান, আমার মায়ের অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ায় সারাদিন চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতাল ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছি। অনেকেই একইভাবে চলে গেছেন। আমরা ডা. মাহাবুবের চিকিৎসা সনদ বাতিলের দাবি জানাই।
এ বিষয়ে ডা. মাহাবুব বলেন, এইচডিইউ বিভাগে রোগীর স্বজনরা খারাপ আচরণ ও হুমকি দিয়েছে। তাই চিকিৎসা সেবা বন্ধ করেছি। আমি বিসিএস ক্যাডার; বাধ্য হয়ে রুগী দেখতে হবে, এমন কোনো নিয়ম নেই।
তত্ত্বাবধায়ক শারমিন জাহান শায়লা আরও বলেন, নারী ও শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বে ছিলেন ডা. মাহাবুব। তাঁর না দেখার কারণে সাময়িক সমস্যা হয়েছে। সব বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের এভাবে নজর দেওয়া ঠিক নয়। এতে কাজ করা কঠিন হয়ে যায়। সব বিষয়ে সাংবাদিকদের আসার দরকার নেই।