১৯৫৮ সালের সেপ্টেম্বর মাস। মেহেরপুরে এলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মেহেরপুর পৌরসভার কালাচাঁদ হলের সামনে জনসভা হলো। এই জনসভায় সবচেয়ে বেশি ভুমিকা রাখেন তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমা আওয়ামী ছাত্রলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন। বঙ্গবন্ধু তার এই ভুমিকার প্রশংসা করেন এবং সারা জীবন তাকে বিশেষভাবে মনে রাখেন। ১৯৬৬ সালে তিনি যখন একটি ব্যংকের বগুড়া শাখার ম্যানেজার। তখন তিনি এলেন বঙ্গবন্ধুর ডাকা স্বাধীন ও স্বাধিকারের জন্য ঢাকার জনসভায়। সেদিন বঙ্গবন্ধু ভিড়ের ভিতরেও চিনতে পেরেছিলেন ছোট মেহেরপুর মহকুমার এই ছাত্রনেতাকে। বঙ্গবন্ধু তার খোঁজ খবর নিলেন এবং নির্দেশ দিলেন দলের প্রয়োজনে দেশের স্বার্থে চাকরি ছেড়ে মেহেরপুরে গিয়ে আওয়ামী লীগের হাল ধরতে। তিনি নেতা নির্দেশ মতো চাকরি ছেড়ে চলে এলেন মেহেরপুরে এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দলের জন্য দেশের জন্য মেহেরপুরে বসে কাজ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু সেসময় তাকে স্থবির মেহেরপুর মহকুমা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়ে দলকে পুর্ন গঠনের নির্দেশ দিলেন।
অনলাইন পত্রদূত পত্রিকায় প্রয়াত ননী গোপাল ভট্টাচার্য্য লিখেছেন,‘১৯৫৮ খৃষ্টাব্দ, সেপ্টেম্বর মাসের প্রায় শেষশেষি। শেখ মুজিবুর রহমান মেহেরপুরে এক জনসভায় করতে এলেন। স্থানীয় পৌরসভার কালাচাঁদ হলের সামনে জনসভা হলো। আওয়ামী ছাত্রলীগের সে সময়ের মহকুমা সভাপতি ইসমাইল হোসেন ও সহ-সভাপতি আমার ছোট ভাই প্রশান্ত ভট্টাচার্য্য ওরফে মানু, তাদের সাংগঠনিক কর্মতৎপরতায় সেই জনসভাকে খুবই সাফল্যমণ্ডিত করে তুলেছিল।’
বিশিষ্ট ভাষা সৈনিক,বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা ইসমাইল হোসেন আর আমাদের মাঝে নেই। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার রাতে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি … রাজিউন)। মেহেরপুরের সর্বস্তরের মানুষ আজ তার চিরবিদায়ে শোকাহত। তার মৃত্যুতে এঅঞ্চলের রাজনীতি ও আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এই বাংলার সোনার ছেলে ইসমাইল হোসেনকে এ অঞ্চলের সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধার সাথে চিরকাল স্মরণ করবে। তিনি দেশ, মাটি, ভাষা ও রাজনীতির জন্য জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি একজন সরল প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তিনি দলীয় ষড়যন্ত্র বা গ্রুপিং পছন্দ করতেন না। তিনি সবসময়ে সকলকে সাথে নিয়ে দেশের জন্য রাজনীতির জন্য সারা জীবন কাজ করেছেন।
ভাষাসৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক মোঃ ইসমাইল হোসেন ১৯৪৩ সালের ৯ই অক্টোবর জন্ম গ্রহণ করেন ভারতের তেহাট্টা থানার মোবারকপুর গ্রামে। পিতা মৃত এসকেনদার জুলকার নাইন। মাতা মৃত খালেছা খাতুন। পিত-মাতার ছেলে-৭ ও মেয়ে-৫ মোট ১২জন সন্তানের ভিতর তিনিই ছিলেন সবার বড়। মোঃ ইসমাইল হোসেন বিশ্বাস বংশগত। তিনি সচেতন ও প্রভাবশালী পিতার বড় ছেলে হবার সৌভাগ্যে সমাজে সকলের সুনজরের পাত্র ছিলেন। তিনি ছিলেন খুব সাধাসিধে ভাল একটা মনের মানুষ। সকলকে সন্মান ও ভালবাসায় প্রানবন্ত মানুষ।
১৯৫২ সালে ভাষার দাবিতে প্রতিবাদের মিছিলে মহকুমা মেহেরপুর জেলার একজন সৈনিক। তখন তিনি সবে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। ১৯৫৪ সালে প্রথম মেহেরপুর মহকুমা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হলেন যখন তিনি ৯ম শ্রেণিতে। তখন সামরিক নিষেধাজ্ঞার ভিতরে ১৯৫৫ সালে একুশে ফেব্রুয়ারী মহান শহীদ দিবস পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ছাত্রদের সংগঠিত করে ক্ষোভের ভিতর তিনি দিবসটি পালন সম্পন্ন করেই ছাড়লেন। এরই ফলশ্রুতিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ শহীদ দিবস পালনের অপরাধে তাকে অপরাধি সাব্যস্ত করে। দুরন্ত, উচ্ছৃংখল,বে-আদব বলে গালি শুনেন এবং এরই সাথে স্কুল থেকে বহিষ্কার হলেন। স্কুল কর্তৃপক্ষের সভায় তাকে এবং তার সাথে থাকা আর ৬ জনকে রাজ টিকিট দেওয়া হল। কোর্টে মামলা চলল। এভাবেই জীবন থেকে হারিয়ে গেলো শিক্ষা জীবনের দুটির গুরুত্বপূর্ণ দুটি বছর। কোর্টে বিচারে রায়ে জয়লাভ হলেন তিনি ও তার আরো ছয় সাথী। পড়াশুনা করার সুযোগ পেলেন। ১৯৫৭ সালে মেহেরপুর মহকুমা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হলেন। ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসন চালু হওয়া পর্যন্ত সক্রিয়ভাবে সতর্কতার সাথে ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৯ সালে পাশ করলেন এস,এস,সি। ১৯৬২ সালে ছাত্র ও জনগণের ন্যায্য দাবীতে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের রিপোর্ট বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেন। আন্দোলনের প্রচারণার কারণে শাসক কর্তৃপক্ষের নির্যাতনের স্বীকার হলেন এবং জীবনে প্রথম গ্রেফতার হন এরই ভিতরে পাশ করলেন এইচ,এস,সি। ১৯৬৫ সালে বিরোধী দলীয় প্রার্থী মিস ফাতিমা জিন্নাহর ভোটের জন্য কাজ করেন। মুসলিম লীগের সেই দুঃশাসনের সময়গুলোতে ছাত্র সংগঠন সুরক্ষা ও স্থানীয় আন্দোলন অব্যাহত ও সক্রিয় রাখেন। তখন তিনি ছিলেন যুবলীগ সভাপতি। ১৯৬৬ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন। এবং এই বছরে জীবনের তাগিদে চাকরি গ্রহণ করলেন একটি ব্যংকের ম্যানেজার পদে বগুড়া শাখায়।
কিন্ত চাকরি আর বেশি দিন করা হল না। তিনি এলেন বঙ্গবন্ধুর ডাকা স্বাধীন ও স্বাধিকারের জন্য ঢাকার জনসভায়। সেদিন বঙ্গবন্ধু ভিড়ের ভিতরেও চিনতে পেরেছিলেন ছোট মেহেরপুর মহকুমার এই ছাত্রনেতাকে। বঙ্গবন্ধু নিদেশে দলের প্রয়োজনে দেশের স্বার্থে চাকরি ছেড়ে দিয়ে চলে আসেন মেহেরপুরে। ১৯৬৮ সালে স্থবির মেহেরপুর মহকুমা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দলকে পুর্ন গঠন করেন।
১৯৬৯ সালে ৬ দফা প্রচার কেন্দ্রিক কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৯ সালে মেহেরপুর মহকুমা শ্রমিক লীগ গড়ে তোলেন। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের হৃদয়পুর যুবক্যাম্পে প্রথম দায়িত্ব গ্রহণ করে অস্ত্র প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তিনি বাকশালের ডেপুটি সেক্রেটারীর দায়িত্ব পান। ৮৯ সালে তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ২৪ বছর ওই পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ এ ১৫দলীয় জোটের সম্বন্বয়ক হয়ে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।
তার পরিবার সূত্র জানায়, ভাষা সৈনিক হিসেবে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দাবির বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের কারণে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের নজরে আসে। পরে ২০১০ সালে তার নির্দেশে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে ও নজির বিশ্বাসকে ভাষা সৈনিক হিসেবে সম্মাননা দেওয়া হয়। এরপর থেকে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাষা সৈনিকের স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।
ইসমাইল হোসেন সারাজীবন মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে মোট ২৯ বছর মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১৩ বছর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ছিলেন।
প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক লিখেছেন.‘তিনি আওয়ামী লীগের সকল আন্দোলন সংগ্রামে নিবেদিত প্রাণকর্মী হিসেবে কাজ করে গেছেন নিষ্ঠার সাথে। ’৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬ এর ছয়দফা আন্দোলন, ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে তিনি ছিলেন সামনের সারিতে। ৭০ এর নির্বাচনের প্রাক্কালে তিনি তখন মেহেরপুর মহকুমা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। অসাধারণ দক্ষতার কারণে তিনি ছিলেন অবিসংবাদী নেতা ছহিউদ্দীন বিশ্বাসের যোগ্য সহযোগী ও একান্তজন। ৭১ এর অসহযোগ আন্দোলন ও প্রথম প্রতিরোধ, ৩০ মার্চ কুষ্টিয়া যুদ্ধে তিনি বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ছহিউদ্দীন বিশ্বাসের সাথে থেকে হৃদয়পুর, বেতাই,করিমপুর প্রভৃতি ক্যাম্প পরিচালনা করেছেন। তাঁর অসামান্য অবদান ইতিহাসে অম্লান হয়ে থাকবে।
স্বাধীনতার পর দেশ গড়ার কাজে তিনি আত্মনিয়োগ করেছিলেন। ৭৫ পরবর্তী রাজনীতিতেও তিনি ছিলেন দলের দু:সময়ের সাথী হিসেবে। ৮১ তে বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে যখন দলের হাল ধরেন তারপর তিনি আওয়ামী লীগ ছেড়ে বাকশালে চলে গেলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবেই আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ভাই ডাকতেন। তাইতো তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খোঁজ নিয়েছেন, আশু রোগমুক্তি কামনা করেছেন এবং আর্থিক সাহায্যও করেছেন।
কালের কন্ঠ পত্রিকার মেহেরপুর প্রতিনিধি ইয়াদুল মমিনের সাথে এক সাক্ষাৎকারে ইসমাইল হোসেনের একটাই দাবি ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের মতো ভাষাসৈনিকদেরও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে। দেশ স্বাধীন হওয়ার অর্ধ শতাব্দী পার হয়ে যাওয়ার পরও ভাষাসৈনিকদের কোনো তালিকা করেনি সরকার। অথচ ভাষা আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কারণে তিনি ছাত্রত্ব হারিয়েছিলেন। জেলে গিয়েছিলেন। তাঁর আরো দুঃখ, দেশে সর্বস্তরে বাংলা ভাষা আজও চালু হয়নি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ইংরেজিতে লেখা দেখলে কষ্ট পান ইসমাইল হোসেন। বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে পশ্চিম পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। এখন তাকিয়ে থাকি ঢাকার দিকে। আমরা যাঁরা মফস্বল এলাকায় থাকি, আমাদের কেউ খবরও নেয় না।’
আওয়ামী লীগের ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মান্নান আমাকে টেলিফোনে বলেছেন, ‘আমার নেতা ইসমাইল হোসেন একজন সরল প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তিনি দলীয় ষড়যন্ত্র বা গ্রুপিং পছন্দ করতেন না। তিনি সবসময়ে সকলকে সাথে নিয়ে দেশের জন্য রাজনীতির জন্য সারা জীবন কাজ করেছেন। সেই ১৯৬৯ সাল থেকে যাকে চিনি। এক সাথে কত গ্রামে গিয়েছি, কত আওয়ামী লীগের নেতার বাড়িতে রাত কাটিয়েছি। আমাদের সময় কালে তেমন বাহন ছিলো না তাই ইসমাইল ভাইয়ের সাইকেলই ছিল ভরসা, সব সময় ভাই সাইকেল চালাতেন আমি কখনো সামনের রডে কখনো পিছনের ক্যারিয়ারে।’
ইসমাইল হোসেনের একমাত্র ছেলে মোঃ ফারুক হোসেন আমাকে টেলিফোনে বলেছেন, আমার আব্বা সারা জীবন দেশের জন্য, রাজনীতির জন্য কাজ করেছেন। নিজের পরিবারের জন্য তেমন কিছু করে যান নি। আমি আমার আব্বার ভাষা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্মান চাই এবং দেশ ও মাটির কল্যাণে অবদানের তাকে স্বাধীনতা পদক প্রদান করা হোক।
অনেকে বলছেন, মৃত্যুকালে তিনি আর্থিক দুরাবস্থার কারণে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি। অনেকটা নীরবে অবহেলায় স্থানীয় চিকিৎসার মধ্য দিয়েই তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী জোহর নিগার,ছেলে মোঃ ফারুক হোসেন, মেয়ে রোকসানা জান্নাতুল নিগার,জামাতা অ্যাডভোকেট মোখলেসুর রহমান স্বপন, ছেলের ঘরের নাতনী নওসিন ও ফারিয়া, মেয়ের ঘরের নাতনী মৌ ও লুবনা, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও ভক্তদের রেখে গেছেন।
আমরা মহান দেশ প্রেমিক ও ভাষাসৈনিক ইসমাইল হোসেনের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং মহান আল্লাহ-তায়ালার কাছে প্রার্থনা করছি, তাকে জান্নাতুল ফেরদেীস দান করা হোক। সেই সাথে বর্তমান সরকারের কাছে প্রত্যাশা, ভাষা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্মান এবং তার নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হোক। তার নামে মেহেরপুরে সড়কের নামকরণ করা হোক এবং তার স্মরণে একটি স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ করা হোক।
মুহম্মদ রবীউল আলম: লেখক-সাংবাদিক, মেহেরপুরের কৃতী সন্তান