চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গুয়াংগংয়ের শেনজেন শহরে কুকুর ও বিড়াল খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এর ক্রয়-বিক্রয়ও।
প্রথম শহর হিসেবে বৃহস্পতিবার এই নিষেধাজ্ঞা দেয় শেনজেন কর্তৃপক্ষ। আগামী ১ মে থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে চীনের উহান থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উহানের বন্যপ্রাণী বেচাকেনার এক বাজার থেকেই এর উৎপত্তি হয়েছে বলে ধারণা করছেন অনেকে। এরপর থেকেই বন্যপ্রাণী খাওয়া ও বেচাকেনার ব্যাপারে কঠোর হয় চীন।
প্রাণীবিষয়ক সংস্থা হিউম্যান সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল (এইচএসআই) অনুসারে, এশিয়ায় প্রতি বছর খাওয়ার উদ্দেশ্যে ৩০ লাখের বেশি কুকুর হত্যা করা হয়। তবে চীনে কুকুরের মাংস খাওয়ার রীতি অতটা জনপ্রিয় নয়।
বেশির ভাগ চীনাই কখনও কুকুরের মাংস খাননি বলে দাবি করেন। শেনজেন শহর সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কুকুর ও বিড়াল মানুষের সঙ্গে বেশি ঘনিষ্ঠ। এখন থেকে এই প্রাণীগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
হংকং, তাইওয়ান ও উন্নত দেশগুলোকে এই প্রাণীগুলোর মাংস খাওয়ার ওপর ইতোমধ্যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এদিকে কিউবায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে রোগী শনাক্ত করছেন মেডিকেল শিক্ষার্থীরা। কেউ আক্রান্ত হলে বাড়িতেই তাকে সেবা দিচ্ছেন। ওষুধ-পথ্য আছে কিনা, খোঁজখবর নিচ্ছেন। অধিবাসীদের কেউ বিদেশিদের সংস্পর্শে এসেছে কিনা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে কিনা- এমন নানা প্রশ্ন করছেন। ছোট্ট দেশজুড়ে এভাবে সেবা দিয়ে চলেছেন প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থী।
মহামারী শুরু হওয়ার পরপরই নজিরবিহীন এ পদক্ষেপ নেয় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। শুধু তাই নয়, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চিকিৎসক পাঠাচ্ছে দেশটির সরকার।
এ মূহূর্তে অন্তত ৫৯টি দেশে ২৯ হাজারের বেশি কিউবান ডাক্তার রয়েছে।
মহামারী ছড়িয়ে পড়া আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার দরিদ্র ও নিুআয়ের দেশগুলোতে মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে।
সুত্র-যুগান্তর