মুসলমানদের আচার-ব্যবহার, ধর্মীয় রীতিনীতি ও সংস্কৃতিতে অনুপ্রাণিত হয়ে স্বেচ্ছায় ও স্বজ্ঞানে সনাতন ধর্ম ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন চুয়াডাঙ্গার এক কলেজছাত্র।
সোমবার রাতে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার পাঁচকমলাপুর দারুল উলুম হাফেজিয়া কওমিয়া মাদ্রাসার ১৩তম ঐতিহাসিক তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে কালেমা পড়ে তিনি মুসলমান হন।
এদিন মাহফিলের আলোচনা শেষে উপস্থিত লাখ লাখ মানুষের সঙ্গে পবিত্র কালেমা পড়েন রনি কুমার দাস। শায়খ মিজানুর রহমান আজহারী তাকে পবিত্র কালেমা পাঠ করান।
পরে তার নাম রাখা হয়েছে আব্দুর রহমান। তার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জে। তার বাবার নাম খোকা কুমার দাস। তিনি চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের স্নাতক শ্রেণির দর্শন বিভাগের ছাত্র।
এসময় লক্ষ লক্ষ জনতার সামনে আব্দুর রহমান জানান, ইউটিউবে ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীর ওয়াজ শুনে অনুপ্রাণিত হয়ে ইসলামের ছায়াতলে আসার সিদ্ধান্ত নেন।
কালেমা পড়ার আগে আব্দুর রহমান আরও বলেন, মানুষ হিসেবে জন্মগ্রহণ করার পর থেকে প্রতিটা মানুষেরই উচিৎ সঠিক পথে চলা। আমি এতদিন অনেক ধর্ম দেখেছি, বিভিন্ন বই পড়েছি। তবে আমার সব থেকে ভালো লেগেছে মহাগ্রন্থ কোরআন শরীফ, যার ভুল আজও পর্যন্ত কোনো বিজ্ঞানী ধরতে পারেননি।
“আমি ভেবেছিলাম লেখাপড়া করে আগে নিজে প্রতিষ্ঠিত হবো, তারপর মুসলিম হবো কিন্তু পরে ভাবলাম তার আগে যদি আমার মৃত্যু হয়ে যায় তাহলে তো মুসলিম হয়ে মরতে পারব না। এ জন্য আজকেই শান্তির ধর্ম ইসলাম গ্রহণ করতে চলে এসেছি।
পরে তিনি জানান খুব শিগগিরই আদালতে গিয়ে এফিডেভিট করে ধর্মান্তরিত হবেন।এসময় সদ্য মুসলিম হওয়া নবমুসলিমকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন চুয়াডাঙ্গার কৃতী সন্তান বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিকসহ উপস্থিত শত শত মানুষ। পরে তাৎক্ষণিক আব্দুর রহমানকে আর্থিক সহায়তাও করেন অনেকে।