চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার যুবদল ও ছাত্রদলের দুই নেতা সহ পাঁচজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে-পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আফজালুর রহমান সবুজ সহ পাঁচজন জখম হয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ রবিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সিঅ্যান্ডবিপাড়ায় এলজিইডি অফিসের অদূরে এ ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে দুজনকে কুপিয়ে ও তিনজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে বলে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন, দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আফজালুর রহমান সবুজ (৩৪), দামুড়হুদা থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজুর রহমান জনি (৩৫), দামুড়হুদা উপজেলার নতুন বাস্তপুর গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে ও যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান (৪০), একই এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে ও যুবদল নেতা মোস্তাফিজুর রহমান সুমন (৩৫), পীরপুরকুল্লা গ্রামের যুবদল কর্মী সেলিম মিয়া (৩৫)।
এরমধ্যে আফজালুর রহমান সবুজ ও মাহফুজুর রহমান জনিকে কুপিয়ে ও বাকিদের পিটিয়ে জখম করা হয়েছে।
আহতরা বলেন, চুয়াডাঙ্গায় যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে আমরা কয়েকজন একসাথে দামুড়হুদায় ফিরছিলাম। এ সময় চুয়াডাঙ্গা সিঅ্যান্ডবিপাড়ায় এলজিইডি অফিসের অদূরে পৌছালে ৩০-৪০ জন দূর্বত্তরা আমাদের উপর লাঠিসোটা ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালাই। এতে আমাদের দুজন ধারাল অস্ত্রের আঘাতে ও পিটিয়ে তিনজনকে জখম করে তারা। পরে আমাদের অন্যন্য সহকর্মীরা আমাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, দুজনের শরীরে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বাকি তিনজনের শরীরে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। এরমধ্যে সেলিম প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরলেও বাকিদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, এ ঘটনাটি আমি জেনেছি। আমিসহ আমার পুলিশ সদস্যরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, হামলাকারীদের নাম-পরিচয় আমাদেরকে জানাইনি। আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে আহতদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।