‘জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন, আনব দেশে সুশাসন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় জাতীয়জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত হয়েছে।
আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে চত্বর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের কোর্ট মোড়ে ঘুরে একই স্থানে র্যালি শেষ হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা করা হয় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে।
চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘নাগরিককে জন্ম সনদ দিতে হবে। এই জন্য সবাইকে জন্ম ও মৃত্যু সনদ গ্রহণ করতে হবে। জন্ম সনদে সব সময় ছোট নাম দিতে হবে। গ্রামের ইউনিয়নপর্যায়ে জন্ম ও মৃত্যু সনদ নিতে যেন কোন বিলম্ব সৃষ্টি না হয়। এই জন্য গ্রামের পুলিশের সচেতন থাকতে হবে। গ্রাম পুলিশের সঠিক তথ্যের কারণে জন্ম ও মৃত্যুর সঠিক তথ্য পাওয়াযায়। ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম ও মৃত্যুর সনদ গ্রহন করতে হয়। জন্ম সনদ ও মৃত্যু সনদের আইন মানতে হবে। জন্ম ও মৃত্যু সনদে ভুল দ্রুতসংশোধন করে সকল নাগরিককে দিতে হবে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সময় মতো রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। জন্ম ও মৃত্যু সনদের তথ্য সঠিক ভাবে উল্লেখ করতে হবে। শিশুজন্ম গ্রহণ করার পর মৌলিক অধিকার জন্ম সনদ গ্রহণকরা’।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ভুমি অফিসের সহকারী কমিশনার এস.এম. আশিশ মোমতাজ, চুয়াডাঙ্গা কালেক্টর স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র সাকিব হাসান তুষার, চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী কারার তাফসীন, ঝিনুক বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী নুসরাত আরেফিন, বৈষম্য বিরোধীছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি সজিবুল ইসলাম, গ্রাম পুলিশ বিপুল দফাদার, বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসন কর্মকর্তা ফয়জুর রহমান, প্রথম আলোর চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি শাহ আলম সনি প্রমুখ।