‘ছাত্র জনতার অঙ্গিকার, নিরাপদ সড়ক হোক সবার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় নিরাপদ সড়ক চাই নিসচা’র ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিক পালন করা হয়েছে। আজ রবিবার সকাল দশটায় সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিক উপলক্ষে র্যালি ও সমাবেশ করা হয়।
শহরের কোর্ট মোড় ঘুরে বর্ণাঢ র্যালি শেষ করে সংগঠনটির চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার কার্যালয়ে এসে শেষ করা হয়। পরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিক উপলক্ষে সমাবেশ সভা করা হয়। সভায় সভাপত্বিত করেন নিরাপদ সড়র চাই চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি অ্যাড. মানিক আকবর।
সভায় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, ‘মহাসড়কে কোনওভাবেই অসুস্থ বা ক্লান্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো যাবে না। প্রত্যেক মানুষেরই পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম প্রয়োজন। অন্যদিকে সড়ক দুর্ঘটনার আরও একটি অন্যতম কারণ চালকদের ওভারটেকিং প্রবণতা। সাধারণত রাস্তায় ধীরগতির গাড়িগুলোকে ওভারটেকিংয়ের প্রয়োজন পড়ে।
এ সময় হর্ন বাজিয়ে সামনের গাড়িকে সংকেত দিতে হয়। কিন্তু অনেক সময় সংকেত না দিয়ে একজন আরেকজনকে ওভারটেক করার চেষ্টা করে, যার ফলে সামনের দিক থেকে আসা গাড়ি বের হতে না পেরে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সড়ক দুর্ঘটনার আরেকটি কারণ হলো ত্রুটিপূর্ণ সড়কব্যবস্থা। মহাসড়কগুলোতে বাঁকা থাকার কারণে সামনের দিক থেকে আসা গাড়ি দেখতে না পেয়ে অনেক চালক দুর্ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। রাস্তার পাশে হাট-বাজার স্থাপন এবং ওভারব্রিজ না থাকাও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হয়। আমরা সড়কে আর মৃত্যু দেখতে চাই না। এজন্য সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের সড়ক-মহাসড়কে নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে পারলে দুর্ঘটনার হার কমে আসবে। সকলকে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন থেকে তা মেনে চলতে হবে’।
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক জামান আখতার, কামরুজ্জামান সেলিম, শামিম আহমেদ বিপ্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক শামিম হোসেন, দপ্তর সম্পাদক শেখ লিটন, সদস্য বিপুল আশরাফ, মফিজুর রহমান, পিন্টু মাস্টার, ইন্তাজুল ইসলাম, উজ্জল হোসেন, রোমান হোসেন রাহুল, প্রমুখ।