চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত মাখালডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহাকে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের বেলগাছি রেলগেট এলাকা থেকে প্রথমে স্থানীয়রা আটক করে বিশ্বজিৎ সাহাকে। পরে স্থানীয় বিএনপি ও সাধারণ লোকজনের সহায়তাই তাকে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) হোসেন আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় একটি সুত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে বেলগাছি রেলগেট এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সাহাকে সাধারণ জনগণ পিটুনি দেন। পরে জনগণই পুলিশকে খবর দিয়ে বিশ্বজিৎ সাহাকে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেন। পুলিশ বিশ্বজিৎ সাহাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় নেই। দুপুরেই চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত মাখালডাঙ্গা ইউপি নির্বাচনে আফজাল হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অংশ নেন। ওই সময় বিশ্বজিৎ সাহা ও আরশাদ আলী চন্দনসহ আরও ৪-৫ জন আফজালের দোকানে এসে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে আফজালকে তুলে নিয়ে গিয়ে নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় ৫০ হাজার টাকা দিলেও তারা পরবর্তী দুই দিনের মধ্যে ৭০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়। এ সময় আফজাল হোসেনকে মারধরও করা হয়।
এই ঘটনায় গত ২৭ আগস্ট আফজাল হোসেন বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় বিশ্বজিৎ সাহা সহ ছয়জনের নামে একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার আসামী বিশ্বজিৎকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) হোসেন আলী বলেন, স্থানীয়রা হালকায় মারধর করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে বিশ্বজিৎ সাহাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে। দুপুরেই চাঁদাবাজি মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।