‘অর্থনৈতিক শুমারিতে তথ্য দিন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশ নিন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গায় শুরু হয়েছে অর্থনৈতিক শুমারি।
আজ মঙ্গলবার থেকে আগামি ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৫ দিন চলবে এই অর্থনৈতিক শুমারি। অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৩ প্রকল্পের আওতায় এই জেলায় তিন ধাপে এই শুমারি কার্যক্রম চলবে সরকারি বে-সরকারি সব প্রতিষ্ঠানে। শুমারিতে দেশে অবস্থিত সকল ধরনের প্রতিষ্ঠান, কৃষি বহির্ভূত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্বলিত সকল খানা ও সকল প্রাতিষ্ঠানিক কৃষি খামার এই শুমারি আওতাই পড়বে। সময়ের বিবর্তনে একটি দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোগত পরিবর্তন সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রণয়নে এই শুমারির লক্ষ্য। অর্থনৈতিক শুমারির উদ্দেশ্য হয়ে কাজ করবে, খানা ও প্রতিষ্ঠানভিত্তিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কাঠামো নির্ধারণ। শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত সকল অর্থনৈতিক ইউনিট সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করা। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত জনবলের হিসাব নিরূপণের পাশাপাশি তাদের ধরন সম্পর্কে ধারণা লাভ করা। শিল্প বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান মৌলিক সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে ধারণা লাভ করা। ইউনিটের স্থায়ী সম্পদ ও জনবল কাঠামো অনুযায়ী শ্রেণিবিন্যাসকরণ এবং শ্রেণিভিত্তিক সংখ্যা নির্ধারণ। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য নীতিনির্ধারক, পরিকল্পনাবিদ, গবেষকসহ বিভিন্ন অংশীজনদের হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করা হবে এই শুমারি চলাকালিন।
এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘শুরু হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অর্থনৈতিক শুমারি। সবাইকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগীতার আহ্বান এই শুমারি কার্যক্রমে। আর এই শুমরির উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারি বেসরকারি অফিস ও বিভিন্ন খামার ভিত্তিক এবং কৃষি ভিত্তিক অফিস গুলোতে যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় তা সবাই তথ্যদিয়ে সহযোগিতা করবেন। এতে দেশ ও দেশের অর্থনৈতিক ভুমিকায় কাজ করবে। এই তথ্য সংগ্রহ করার পর এই জেলার প্রতিটা প্রতিষ্ঠানের কর্মপরিকল্পনায় কাজে আসবে’।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ে সুত্রে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গায় জেলায় অর্থনৈতিক শুমারিতে তথ্য সংগ্রহে কাজ করছে ৭৭৩ জন নারী পুরুষ। এই কার্যক্রম সফল করতে সুপার ভাইজার নিয়োজিত করা হয়েছে ১৫০ জন। জোনাল অফিসার আছে ২১ জন ও জেলা শুমারি সমন্বয় ১ জন।