চুয়াডাঙ্গায় সাপের কামড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খাসপাড়া গ্রামের সেলিম হোসেন ( ২৮) নামের যুবকের মৃত্যু হয়। আজ সোমবার ভোর সাড়ে ছয়টাই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত সেলিম হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের খাসপাড়া গ্রামের মৃত. মনির উদ্দিনের ছেলে। নিহত সেলিম হোসেন দুই সন্তানের জনক ছিলেন।
নিহতের স্বজনেরা বলেন, রাতে সাপে কামড়ানোর পরই একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে সদর হাসপাতালে নেয়া হয় সেলিমকে। হাসপাতালে সরকারিভাবে সাপের বিষের প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) সাপ্লাই ছিল না। বাইরে থেকে অ্যান্টিভেনম কেনার পরামর্শ দেয়া হয়। অত্যান্ত দারিদ্র পরিবার তারা। সঙ্গে করে মাত্র সাত হাজার টাকা নিয়ে এসেছিল। আর এক ডোজ অ্যান্টিভেনমের (১০ পিচ) মূল্য ১৪ হাজার টাকা। ফার্মেসি দোকানদার বাকি দিতে না চাওয়ায় ভাড়া করা মাইক্রোবাসের চাবি বন্ধক রাখা হয়। এরপরই এক ডোজ অ্যান্টিভেনম আমাদের দেন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে আসার প্রায় এক ঘন্টা পর অ্যান্টিভেনম তার শরীরে পুশ করা হয়। এরপরও সেলিমকে বাচানো গেল না। যদি হাসপাতালে কিংবা ফার্মেসি থেকে তাৎক্ষনিকভাবে পাওয়া যেত তাহলে হয়তো সেলিমকে বাচানো সম্ভব হতো।
তিনি আরও বলেন, গতকাল রোববার রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। রাতে যে কোন সময় একটি বিষধর সাপ সেলিমের গলায় পেচিয়ে ধরে গলাতেই কামড় দেয়। এরপরই রাত ২টার দিকে সেলিমকে উদ্ধার করে মাইক্রোবাস ভাড়া করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেলিমের দুটি ছোট ছোট সন্তান রয়েছে। তার মা অন্যের বাড়িতে কর্ম করেন। সেলিমও দিনমজুর ছিলেন। তার মৃত্যুতে একটি পরিবারের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। আজ সোমবার বিকেল ৫টার দিকে নিজ গ্রামে দাফন সম্পন্ন হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মোরশেদ আলম বলেন, সাপের কামড়ে রাতে একজন যুবক সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। অ্যান্টিভেনম পুশ করা হয়েছিল। পরে ভোর ৬টার দিকে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের স্টোর কিপার হাদিউজ্জামান বলেন, প্রায় মাস খানেকের বেশি দিন যাবত হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম সাপ্লাই নেই। বেশ কয়েকবার ঢাকাতে যোগাযোগ করেছি। এখনো অ্যান্টিভেনম দেয়নি।