চুয়াডাঙ্গায় জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করেছে। এতে এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা, তিন প্রতিষ্ঠানে সিলগালাসহ আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত সতর্ক করা হয়েছে।
সোমবার চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হাসান জেলার সকল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য সতর্ক করে। এরমধ্যে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরাও দাবি তোলে অবৈধভাবে নিয়ম না মেনে চলা ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমাও অভিযান করতে নির্দেশনা দেন।
এরই পেক্ষিতে সোমবার যৌথ অভিযানে নামে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। অভিযানে, সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারের বিআরএম হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিভিন্ন বিষয়ে অনিয়ম পাওয়া যায়। অপারেশন থিয়েটারের মান সম্পন্ন নয়, সিজারিয়ানে একই ডাক্তার এনেসথেসিয়া দেয়া ও অপারেশন করা, ল্যাবের ব্যবস্থপনা সঠিক না হওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া যায়। এসব অনিয়মে ভ্রাম্যমান আদালতে প্রতিষ্ঠানটিকে মেডিকেল প্যাকটিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরিজ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮০ এর ১৩ ধারা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও বন্ধ করে সিলগালা করা হয়।
এছাড়াও, সরোজগঞ্জ বাজারের মুন ডায়াগনস্টিক সেন্টারকেও বন্ধ ঘোষণা করে সিলগালা করা হয়। এর আগে অভিযানিক দল সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারে অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে মেসার্স ক্রিসেন্ট ফার্মেসী নামে এক প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই প্রতিষ্ঠানেরই পাশের আরেকটি শাখাকে চূড়ান্ত সতর্ক করে। অভিযানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এসএম আশিস মোমতাজ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হাসান ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান বলেন, জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এতে এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা, তিন প্রতিষ্ঠানে সিলগালা ও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সকর্ত করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যহত থাকবে।