চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গায় বিশাল গণ সমাবেশ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকাল চারটায় চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলা চত্বরে এই গণ সমাবেশ করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় বিশেষ দোয়া এবং জামায়াত -বিএনপির নৈরাজ্য ও নির্বাচনের বানচালের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র রুখে দিতে এই বিশাল গণ সমাবেশ আয়োজন করা হয়। এসময় গণসমাবেশটি সভাপতিত্ব করেন ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাওসার হোসেন বাবলু।
সমাবেশের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোওয়াত ও গীতা থেকে পাঠ করে সমাবেশটি শুরু হয়।
এরপর গণ সমাবেশের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আজকের জনসমাবেশের মধ্যে দিয়ে বিএনপি জামায়াত যে আগামী নির্বাচনের চক্রান্ত বানচাল করতে হবে। এটাই আমাদের অঙ্গিকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত আবার শক্তিশালও করবো। তাই সবাইকে নৌকায় আবার ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তাই সকলকে প্রস্তত করতে হবে। বিএনপি জামায়াতকে প্রতিহত করতে হবে। সবাই সবার জায়গা থেকে কাজ করতে হবে রাজপথে। বিএনপি এ দেশের মানুষের জন্য উন্নয়ন করতে পারবে না। আমরা কেউ ঘরে বসে থাকবো না। কঠোর তৎপর ও শক্তি দিয়ে বিএনপির নৈরাজ্যকে দমন করবো। নৌকা প্রতিককে শ্রদ্ধা করতে হবে। নৌকা যার আমি তার। জননেত্রী শেখ হাসিনা যে ভাবে উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। এই উন্নয়ন ধারা করে যাবেন তিনি। এই জন্য সবাইকে ঐক্যবোধ্য হয়ে ভোট দিতে হবে নৌকা মার্কায়। চুয়াডাঙ্গা জেলা স্মার্ট করতে হলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন ইউরোপীয় ও আমেরিকার যে প্রতিনিধি দল দেশ এসেছে, তারা সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচনের কথা বলেছেন। আমরাও সুষ্ঠু-অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। বিএনপি বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে এবং এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। তারা যাদেরকে নালিশ করে ডেকে নিয়ে এসেছে তারাও সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের কথাই বলেছে। তাদের কেউ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলে নাই। এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকারেরও কথা বলেনি
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই। দেশের প্রত্যেক নাগরিককে সংবিধান মানতে হবে। আমাদেরও সাফ কথা, সংবিধানের বাইরে আমরা এক চুলও নড়ব না। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। আওয়ামী লীগ মাঠে ঘাটে থাকা দল। রাজপথে নৈরাজ্য করলে এবার থেকে আর প্রতিবাদ নয়, প্রতিরোধ করা হবে।
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কালিদাস পুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মঈনউদ্দীন পারভেজ, পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস, চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা কৃষকলীগের সভাপতি গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন টাইগার, ডাউকি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম দিপু, প্রমুখ।
গণসমাবেশের শেষ পর্বে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত আলমডাঙ্গা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ইমরানের পরিবারের মাঝে এক লাখ টাকা তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। এ সময় তিনি কর্মীদের মুল্যায়ন করার জন্য সকল নেতাদের আহবান জানান।