চুয়াডাঙ্গার তিতুদহের আড়িয়া গ্রামের চকপাড়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুলছাত্রী নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী ঘরের ছেলে তন্ময়ের বিরুদ্ধে। ধর্ষণ এবং তাদের মধ্যকার অন্তরঙ্গ অশ্লীল কোথপোকথন মোবাইলে ভাইরাল করে দিয়েছে তন্ময়।
এঘটনায় নাবালিকার পিতা বাদি হয়ে অভিযুক্ত তন্ময় ও তার পিতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। তবে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি। এদিকে মামলা করায় ধর্ষীতার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে ধর্ষকের সাঙ্গপাঙ্গরা।
জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের আড়িয়া গ্রামের চকপাড়ার হতদরিদ্র পরিবারের এক নাবালিকা মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে একই পাড়ার প্রভাবশালী মুকুল হোসেনের ছেলে শাহিন আরেফিন তন্ময়।
নাবালিকা মেয়ে অভিযোগ করে বলেন, প্রেমের একপর্যায় তন্ময় বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে ডেকে নিয়ে তার দেহভোগ করে। প্রথম দিনের ঘটনার পর থেকে তন্ময়ের সাথে মোবাইলে নিয়মিত অন্তরঙ্গ কথাবার্তা চলতে থাকে। আমি বুঝতে পারেনি আমাদের মধ্যকার কথাবার্তা তন্ময় তার মোবাইলে রেকডিং করে রাখে। প্রথম দিনের ঘটনার পর থেকে সে এসব নেটে ছেড়ে দেবার ভয় দেখিয়ে তার কথামত চলতে বলে। আমি তন্ময়ের কথায় ভয় পেয়ে তার কথামত চলতে থাকি। আমার সাথে সম্পর্কের অবনতি দেখা দিলে তন্ময় তার মোবাইলে ধারণকৃত কথোপোকথন সাপ্তকানিক আগে বিভিন্ন জনের মোবাইলে ছেড়ে দেয়।
মেয়ের পিতা ছেলের এহনো কর্মকাণ্ডের বিষয়টি মুকুল হোসেনকে জানালে উল্ট ছেলের অপরাধ ঢেকে মেয়ের কুৎসা রটাতে থাকে। মেয়ের সর্বনাশের বিষয়টি জানতে পেরে হতদরিদ্র পিতা দিশেহারা হয়ে পড়ে এবং বিচার চেয় গ্রাম্যমাতব্বরদের দ্বারে দ্বারে ধর্ণদিতে থাকে।
শেষমেশ উপায়অন্ত না পেয়ে বুধবার মেয়ের পিতা অভিযুক্ত তন্ময়ের বিরুদ্ধে ধর্ষন ও অপরাধীকে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করার অপরাধে মুকল হোসেনকে আসামী করে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের ৪ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
এদিকে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা দর্শনা থানার তদন্ত ওসি মাহাবুর রহমান বলেন, আসামীদের গ্রেফতারে সর্বাত্নক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। গ্রামসূত্রে জানাগেছে, অভিযুক্ত তন্ময়ের পিতা গ্রামের প্রভাবশালী ব্যাক্তি হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখখুলতে সাহস পাচ্ছে না। এমন কি মেয়ের পরিবারকে নানাভাবে হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে।