চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনায় আধুনিক পদ্ধতিতে আদা চাষ পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা।
আজ সোমবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে দর্শনা কেরুজ হাসপাতাল পাড়ার কৃষি উদ্দ্যোক্তা কামাল উদ্দিন আহমেদ সান্টুর মসলা জাতীয় বারী আদা ও পাহাড়ী আদা চাষ পরিদর্শন করেন।
এসময় তিনি বলেন, আমরা বাড়ির পরিত্যাক্ত জমিতে মোটিফাইড করে বস্তায় এ মসলা জাতীয় আদা চাষ যদি করতে পারি, তাহলে আমরা নিজের চাহিদা পূরণ করে বাজারে আমদানী করতে পারবো। আধুনিক পদ্মতিতে বস্তায় আদা চাষ করে ৬/৭ মাসের মধ্যে এক বস্তায় ২/৩ কেজি আদা আমরা নিতে পারবো। পর্যায়ক্রমে কৃষকদের পরমর্শ দিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে আদা চাষে নিয়ে আসছি।
এ আদা চাষ আরো বৃদ্ধি করতে ইতমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে ১০ হাজার বস্তা মসরা জাতীয় আদা চাষ আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা মাটিতে আদা চাষে কৃষক সূফল পাচ্চেনা। তাই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ভালো বীজ সংগ্রহ করে বস্তায় আদা চাষে আধুনিক পদ্ধতিতে এ চাষ করছি। এ আদা চাষে প্রত্যেক কৃষকে পরামর্শ দিচ্ছি আপনারা আপনাদের পরিত্যাক্ত জমিতে বস্তায় আদা চাষ করলে আপনারা লাভবান হবেন। তাই মসলা জাতীয় এ আদা চাষে কম খরছে বেশি মুনাফা পাবেন বলে আমরা আশা করছি।
উদ্দ্যোক্তা কামাল উদ্দিন আহমেদ সান্টু বলেন, আমি আধুনিক পদ্ধতিতে বস্তায় মসলার উন্নত বারি আদা-২ ও পাহাড়ী জাতের আদার আবাদ করেছি ৫৬৪ বস্তা। আমি তাতে করে মাত্র ১২ দিন বয়সে যা দেখছি তাতে করে নির্ধারিত সময়ে এর ফলন ভালো হবে। বস্তায় আধুনিক পদ্ধতিতে লাগানো কিছু বস্তায় আদার চারা দেখা গেলেও কিছু বস্তায় এখনো দেখা মেলেনি। আমি আশা করছি বাকি বস্তার রোপনকৃত আদার চারা দেখা গেলে এক বছরে তিন লক্ষ টাকা লাভ করতে পারবো।
এ পরিদর্শনে সাথে ছিলেন, দামুড়হুদা উপজেলা (কৃষি) কর্মকর্তা মোছাঃ শারমিন আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ আর সাবা।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, মুকুল হোসেন, প্রমুখ।