চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানাধীন সুলতানপুর সীমান্ত থেকে প্রায় ১৬ কেজি ১৪ গ্রাম ওজনের ছোট-বড় ৯৬টি স্বর্ণের বারসহ নাজমুল ইসলাম(৩১) নামের এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী দর্শনা কার্পাসডাঙ্গা সড়কের রুদ্রনগর গ্রামের পাকা রাস্তার উপর মোটরসাইকেলসহ তাকে আটক করে। আটককৃত চোরাকারবারি দর্শনা পৌরসভার শ্যামপুর গ্রামের আশাদুল হকের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, পিএসসি।
চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, পিএসসি বলেন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি দর্শনা সুলতানপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে স্বর্নের বার পাচার হবে। খবর পেয়ে সুলতানপুর ক্যাম্পের বিশেষ টহল দল সুলতানপুর বিওপি’র টহল কমান্ডার হাবিলদার মোঃ আব্দুল হাকিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সীমান্ত পিলার ৭৭/২-এস হতে আনুমানিক ০২ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দর্শনা- রুদ্রনগর মুজিবনগর সড়কের পাঁকা রাস্তায় টহল করে।এসময় একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি ঐ এলাকা দিয়ে সীমান্তের দিকে যাওয়ার প্রাক্কালে বিজিবি সশস্ত্র টহল দলের উপস্থিতি টেরপেয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় সুলতানপুর ক্যাম্পের কমান্ডার হাবিলদার মোঃ আব্দুল হাকিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে নাজমুল ইসলামকে আটক করে। প্রথম পর্যায়ে স্বীকার না করায় তাকে আটক করে সুলতান কম্পে নিয়ে যায়।পরে তার স্বীকারোক্তিতে অভিনব কায়দায় মোটরসাইকেলের সীটের নীচে ও সাইড কোভারের ভিতর থেকে ছোট বড় ৯৬ টি স্বর্নের বার উদ্ধার করে।আটক এসব স্বর্নের বারের আনুমানিক বাজার মৃল্যে ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা।বিজিবি এসব বারগুলি দিয়ে ডিসপ্লে করে ৬ বিজিবি লিখছে।
আটককৃত আসামীর বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় সুলতানপুর বিওপি’র টহল কমান্ডার হাবিলদার মোঃ আব্দুল হাকিম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন এবং সোনার বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।