চুয়াডাঙ্গার দোস্তে বিরোধপূর্ণ জমি দখল পেয়েও পতিপক্ষের হুমকী-ধামকী অব্যাহত রয়েছে। এ হুমকি-ধামকির ফলে চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে পাওনাদার জমির মালিক বিধবা সহ তার পরিবারের লোকজন।
অভিযোগসুত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামের বসুতিপাড়ার মৃত দিদার মন্ডলের ছেলে মৃত খোকাই মন্ডলের একই এলাকার ১৫নং মৌজার ২৪৮নং আরএস খতিয়ান ১৩৯৮ দাগে ২০ শতক জমি, আরএস খতিয়ান ১০২ এসএ দাগ ৬৮০ আরএস দাগ নং ১০৫৭ মোট ৬০ শতক জমির মধ্যে ৪৮ শতক জমি জোরপূর্বকভাবে ভোগদখল করে আসছিলো একইপাড়ার মৃত গোলাম রশিদের ছেলে প্রভাবশালী আব্দুল বারী (৩৮), মৃত আব্দুর রউফের ছেলে আব্দুস সালাম শান্তি (৪৫), মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে বাবলু (৬০) ও এনায়েত কবির নান্নু (৫০)।
এ জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলাকালীন সময় মামলার বাদি খোকাই মন্ডল মৃত্যুবরণ করলে এ মামলা পরিচালনা করে আসছেন মৃত খোকাই মন্ডলের স্ত্রী রাহিনা বেগম।
প্রায় ৪০ বছর ধরে আদালতে মামলা চলার পর ২০০৮ সালে চুয়াডাঙ্গা আমলী আদালত প্রাথমিক ডিগ্রী দেয় খোকাই মন্ডলের পক্ষে। তারপর আদালত ২০১২ সালে চুড়ান্ত ডিগ্রী দেয় খোকাই মন্ডলের পক্ষে। আদালতের রায় উপেক্ষা করে গায়ের জোরে জমি ভোগদখল করতে থাকে একইপাড়ার মৃত গোলাম রশিদের ছেলে প্রভাবশালী আব্দুল বারী, মৃত আব্দুর রউফের ছেলে আব্দুস সালাম শান্তি, মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে বাবলু ও এনায়েত কবির নান্নু। এভাবে চলতে থাকলে ২০১৬ সালে খোকাই মন্ডল জমির শোকে ধুকে ধুকে মারা যায়। অসহায় হয়ে পড়ে রাহিনা বেগম ও তার ৩ ছেলে। স্ত্রী রাহিনা বেগম ধরনা দিতে থাকে গ্রামের মন্ডল মাতব্বারদের কাছে। সেখানেও কোন ফল না পেয়ে অভিযোগ করে দর্শনা থানা পুলিশের কাছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জমির কাগজপত্র দেখে দুই পক্ষের লোকজনকে থানায় ডেকে সালিস বৈঠক করে। এতে জমি দিতে স্বীকৃতি জানায়। ফলে একপর্যায় জমির রায় পাই মৃত খোকাই মন্ডলের পরিবার। এ রায়ের পরেও বিবাদীগণ জমি অবৈধ উপায়ে ভোগ দখল করতে থাকে।
তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানা পুলিশ অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত ব্যাক্তিরা সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে এক বৈঠকে জমির সমাধান করা হয়। তাতে জমির প্রকৃত মালিকের নিকট তা বুঝিয়েও দেওয়া হয়। এ জমি বুঝে পাওয়ার পর তা জমির মালিক খোকাই মন্ডলের পরিবার তাঁরকাটার বেড়া দিয়ে ঘিরে নেয়। এ জমি নিয়ে নেওয়ার পর থেকে অভিযুক্ত প্রভাবশালী আব্দুল বারী (৩৮), আব্দুস সালাম শান্তি (৪৫), বাবলু (৬০) ও এনায়েত কবির নান্নু (৫০) তার বাড়ি অনাধিকার প্রবেশ করে জমির দখল ছাড়তে খুন জখমের ভয়ভীতি প্রদান করা সহ নানাধরনের হুমকি ধামকি প্রদান করে আসছে। এ বিষয়ে আব্দুল বারি বলেন আমি ইউসুফ আলীর কাছ থেকে জমি কিনে বিপদে পড়েছি।তবে আমি এ জমি সংক্রান্ত একটি মামলা করেছি।আমরা কোন হুমকি ধামকি দিচ্ছি না সম্পর্ন মিথ্যা কথা।এ ঘটনায় রাহিনা বেগম বলেন আমাদের সব সময় হুমকি-ধামকির উপরে রেখেছে।আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।