অবৈধভাবে সীমানা অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশের পর চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের নিখোঁজ মিজানুর রহমানের (৫০) লাশ আট দিন পর বিজিবির কাছ ফিরিয় দিলো ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
আজ বুধবার বিকাল ৫টার পর বাংলাদশ-ভারত সীমান্তের নোনাগঞ্জ শুন্য রেখায় লাশ নিয়ে আসা হলে নিহতের স্ত্রী নাসিমা খাতুনের সনাক্তর পর এদিন সন্ধ্যা ৬টা ২৩ মিনিটে হস্তান্তর করা হয়।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এস.এম.জাবীদ হাসান জানান, বিএসএফর গুলিত নিহত বাংলাদশী নাগরিক বেনীপুর গ্রামের ক্যাম্পপাড়ার মরহুম নছর উদ্দিনের জামাতা এবং ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা নবিছদ্দীনের ছেল অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অভ্যান্তরে অনুপ্রবশের পর নিখোঁজ হয়েছিলেন। তার পরিবারের দাবী গরু আনতে গিয়ে বিএসএফ সদস্যদের মুখামুখী হলে তারা তাকে গুলি করে হত্যা করে। নিহতের পারিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়,ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নােনাগঞ্জ সীমান্তে ওই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে।
লাশ হস্তান্তের সময় উপস্তিত ছিলেন, সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টন জানান, মিজানুর রহমান কিছুদিন ধরে ভারতীয় গরু অবৈধভাবে আনা নেওয়ার সঙ্গে জড়িত ছিল। এছাড়াও তিনি সাম্প্রতিক সময় অবৈধভাব মানুষ পারাপার করতো।
গত বুধবার (১৩ সেপ্টম্বর) রাত ৮টার দিকে তিনি নিজ এবং তার সহযােগী কয়েকজন অবৈধভাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নােনাগঞ্জ সীমান্তেযান। সেখান থেকে ফেরার সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছােড়েন। এতে তিনি মারা যান।
লাশ হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইদহের মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক সাইফুল ইসলাম, বেনীপুর বিওপি কমান্ডার আতিয়ার রহমান,জীবননগর থানার এসআই এস.এম. রায়হান, এসআই সৈকত পাড়, জীবননগর উপজলা স্বাস্থ কমপ্লক্সের চিকিৎসক মােস্তাফিজুর রহমান। এ সময় ভারতের বিএসএফের উপস্থিতে পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর থানা পুলিশ লাশটি নিহতের পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেন। এরপর আইনগত প্রক্রিয়া শেষ নিহত মিজানুরের লাশ দাফনের উদ্দেশ্য তার আত্মীয়-স্বজন এ্যাম্বুলন্সে করে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়ায় নিয়ে যান।